যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর পরিচালক জেমস কোমি, সম্প্রতি তার একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট নিয়ে বিতর্কের শিকার হয়েছেন। বালুকাবেলায় সাজানো কিছু শামুক-ঝিনুকের ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি, যেগুলি ‘৮৬’ ও ‘৪৭’ সংখ্যাগুলির মতো দেখাচ্ছিল।
এই ছবিটিকে কেন্দ্র করে অনেকে, বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে, অভিযোগ করা হয়েছে যে কোমি নাকি ট্রাম্পকে হত্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে, যখন কোমি ও তাঁর স্ত্রী সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করছিলেন। সৈকতে ‘৮৬’ সংখ্যাটি চোখে পড়লে, তাঁরা সেটিকে ক্যামেরাবন্দী করেন।
কোমির স্ত্রী ছবিটা ইনস্টাগ্রামে দেওয়ার পরামর্শ দেন, এবং কোমিও সেই অনুযায়ী পোস্টটি করেন। ‘৮৬’ সংখ্যাটি কিছু রেস্টুরেন্টে ‘বাদ দেওয়া’ বা ‘ফেলে দেওয়া’ অর্থে ব্যবহৃত হয়, আবার এর অন্য একটি অর্থ হলো ‘হত্যা করা’।
ট্রাম্প ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট, ফলে এই সংখ্যা দুটিকে একসাথে জুড়ে অনেকে ভিন্ন ইঙ্গিত খুঁজে পান।
পোস্টটি আপলোড করার কিছু সময় পরেই কোমির স্ত্রী তাঁকে জানান যে, ইন্টারনেটে অনেকে ছবিটির ভুল ব্যাখ্যা করছেন এবং এর মাধ্যমে ট্রাম্পকে হত্যার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন।
দ্রুতই কোমি পোস্টটি সরিয়ে নেন। তবে ততক্ষণে বিতর্ক ছড়িয়ে পরেছে। এরপর, যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস কোমির সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কোমি তাঁদের কাছে তাঁর বক্তব্য পরিষ্কার করেন।
এই ঘটনার পর, সোমবার রাতে ম্যানহাটনের একটি বইয়ের দোকানে নিজের নতুন ক্রাইম থ্রিলার ‘এফডিআর ড্রাইভ’ বইটির প্রচারকালে কোমি এই বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি জানান, এই বিতর্কটি তাঁর কাছে বেশ বিভ্রান্তিকর মনে হয়েছে।
বইটির বিষয়বস্তুও অনেকটা এমন – কিভাবে একটি কথা বা ইঙ্গিত মানুষকে সহিংসতার দিকে প্ররোচিত করতে পারে। কোমি বলেন, তিনি চান না তাঁর কোনো কাজের মাধ্যমে সহিংসতার সৃষ্টি হোক।
জেমস কোমি, যিনি ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এফবিআই প্রধান ছিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়।
২০১৭ সালে ট্রাম্প তাঁকে এফবিআই প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেন। এই বিতর্কের পরে, কোমি আবারও মিডিয়ার মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস