অপহরণকাণ্ডের নেপথ্যে নতুন মোড়, ডকু-সিরিজে ‘মিথ্যাবাদী’ শেররি পাপিনি।
২০১৬ সালে নিজের অপহরণের নাটক সাজানোর অভিযোগে অভিযুক্ত শেররি পাপিনি। সেই ঘটনার কয়েক বছর পর, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া একটি নতুন তথ্যচিত্রে (ডকুমেন্টারি) তিনি মুখ খুলেছেন।
যেখানে তিনি ঘটনার নতুন একটি দিক তুলে ধরেছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক জেমস রেয়েসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
কয়েক বছর আগের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা শেররি পাপিনিকে অপহরণের অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল চারিদিকে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
অভিযোগ ছিল, দুই মুখোশধারী নারী তাঁকে অপহরণ করে এবং শারীরিক নির্যাতন চালায়। ঘটনার তদন্ত চলাকালীন সময়ে জানা যায়, পুরোটাই ছিল সাজানো। এরপর শেররি পাপিনিকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সেই সঙ্গে জরিমানাও দিতে হয়।
তবে, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘শেররি পাপিনি: কট ইন দ্য লাই’ (Sherri Papini: Caught in the Lie) নামের একটি ডকু-সিরিজে ঘটনার অন্য একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
যেখানে শেররি দাবি করেছেন, তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক জেমস রেয়েসই ছিলেন আসল অপহরণকারী। তাঁর অভিযোগ, স্বামীকে (তৎকালীন) না জানিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারণেই এই মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়েছিল তাঁকে।
এমনকি, জেমস রেয়েসের ডিএনএ-ও পাওয়া গেছে সেই পোশাকের মধ্যে, যা ঘটনার সময় শেররির পরনে ছিল।
ডকুমেন্টারিটির পরিচালক নিকোল রিটেনমেয়ার জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, শেররি পাপিনি মিথ্যা বলছেন এবং সহজে তা প্রমাণ করা যাবে।
কিন্তু, ঘটনার গভীরে যাওয়ার পরে তিনি বুঝতে পারেন, গল্পের একটি বড় অংশ এখনো অজানা। পরিচালকের মতে, শেররি একইসঙ্গে ভুক্তভোগী এবং ঘটনাটির মূল পরিকল্পনাকারী।
আদালতে মিথ্যা বলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, শেররিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা (১ ডলার = ১১০ টাকা) দিতে হয়েছে।
ডকুমেন্টারিটি আগামী ২৬ ও ২৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইনভেস্টিগেশন ডিসকভারি’ চ্যানেলে এবং ‘ম্যাক্স’-এ সম্প্রচারিত হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল