কিংবদন্তি অভিনেতা অ্যালান অ্যালডার জীবনের নব্বই ছুঁই ছুঁই বয়সেও যেন কর্মঠ। জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘ম্যাশ’-এর এই তারকার অভিনয় জীবনের পাশাপাশি বর্তমানে একটি ভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন তিনি।
২০১৪ সালে তার পারকিনসন’স রোগ ধরা পরে। জীবনের এই কঠিন সময়েও তিনি হাসতে ভোলেননি, বরং খুঁজে নিয়েছেন বাঁচার নতুন উপায়।
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে ৮৯ বছর বয়সী অ্যালডা জানিয়েছেন, এই রোগ পরিচালনা করা এখন তার জন্য প্রায় ফুলটাইম চাকরির মতোই।
অ্যালান অ্যালডার অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন বহু বছর আগে। অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি জয় করেছেন অসংখ্য মানুষের মন।
‘ম্যাশ’ ছাড়াও ‘দ্য ফোর সিজনস’ এর মতো চলচ্চিত্রে তার অনবদ্য অভিনয় আজও দর্শক হৃদয়ে গেঁথে আছে। এই অভিনেতা শুধু অভিনয়েই পারদর্শী নন, বরং বিজ্ঞান এবং যোগাযোগের মতো বিষয়েও তার আগ্রহ রয়েছে।
পারকিনসন’স রোগের সঙ্গে লড়াই প্রসঙ্গে অ্যালডা বলেন, “প্রতিদিন আমি কোনো না কোনো সমস্যার সম্মুখীন হই, তবে আমি চেষ্টা করি সেগুলোর সমাধান করতে।
এটা অনেকটা খেলার মতো। ছোট ছোট সমস্যাগুলো যখন আমি সমাধান করতে পারি, তখন নিজেকে অনেক শক্তিশালী মনে হয়।”
অভিনয়ের বাইরে, অ্যালডা বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন টিনা ফে-এর জনপ্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘দ্য ফোর সিজনস’-এ।
১৯৮১ সালের একই নামের চলচ্চিত্রে অ্যালডার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, আর এই সিরিজে তিনি একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এই সিরিজে তিনি কিভাবে কাজ করছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “টিনার (ফে) জন্য আমি খুব খুশি। সিনেমাটি আমার কাছে অনেক প্রিয়, আর মানুষজন তার কাজকে সেভাবেই গ্রহণ করছে যেভাবে তারা আমার কাজকে ভালোবাসে।”
দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে অ্যালান অ্যালডা’র জীবনসঙ্গী আরলেন। তাদের দাম্পত্য জীবন আজও অনেকের কাছে অনুকরণীয়।
তাদের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে অ্যালডা বলেন, “আমরা দুজনেই একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করি, একে অপরের কথা শুনি, এবং আগ্রহ দেখাই।
সম্ভবত, দাম্পত্য জীবনের মূল চাবিকাঠি হলো, সবকিছু সহজভাবে নেওয়া।”
শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও অ্যালডা সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেন। তার ভাষায়, “আমি কোনো কিছু অর্জন করলে গর্বিত হই না, বরং খুশি হই যে আমি কিছু করতে পারছি।
গর্ব করাটা সময়ের অপচয়।”
অ্যালান অ্যালডার-এর জীবন আমাদের দেখায়, কীভাবে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও হাসিমুখে জীবনকে উপভোগ করা যায়।
তিনি প্রমাণ করেছেন, বয়স একটি সংখ্যা মাত্র, এবং ইচ্ছাশক্তি থাকলে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সুন্দর করে তোলা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: পিপল