যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সম্প্রতি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সুপারিশ পরিবর্তন করেছে। এখন থেকে সুস্থ শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার আগের যে সুপারিশ ছিল, সেটি তারা বাতিল করেছে।
এই সিদ্ধান্তটি স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগের সেক্রেটারি রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র একটি ভিডিওর মাধ্যমে এই পরিবর্তনের ঘোষণা করেন। ভিডিওটিতে খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন কমিশনার ড. মার্টিন ম্যাকার এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথের পরিচালক ড. জে ভট্টাচার্যের বক্তব্যও ছিল।
কেনেডি জুনিয়র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এটিকে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের “আমেরিকাকে পুনরায় সুস্থ করে তোলার” প্রতিশ্রুতির দিকে এক ধাপ অগ্রগতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সিডিসি’র এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জানা যায়, তাদের নতুন মূল্যায়নে এখন মনে করা হচ্ছে যে সুস্থ শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কোভিড ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা আগের মতো নেই।
তবে, এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন, গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কোভিড-১৯ এখনো গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভবতী মহিলাদের কোভিড-১৯ হলে তাদের জটিলতা এবং অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ান্স অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস-এর উপদেষ্টা ড. ডেনিস জ্যামিসন এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং গর্ভবতী মহিলা ও তাদের শিশুদের সুরক্ষায় ভ্যাকসিন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
অন্যদিকে, কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সুস্থ শিশুদের জন্য কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার তেমন কোনো প্রমাণ নেই। অনেক দেশ এরই মধ্যে শিশুদের জন্য কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে, সিডিসি’র এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনগুলোর বীমা কভারেজের উপর প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, বীমা কোম্পানিগুলো সাধারণত সিডিসি’র পরামর্শ অনুসরণ করে থাকে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, আমাদের দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক সর্বশেষ তথ্যের জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা এক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: পিপল