1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 11, 2025 11:12 PM
সর্বশেষ সংবাদ:

বিশ্বকে বাঁচানোর দাবি! কর্মী ছাঁটাই ক্লাইমে works-এর, কারণ ট্রাম্প?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Friday, May 30, 2025,

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন সারা বিশ্বেই দৃশ্যমান। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর চেষ্টা চলছে জোরেশোরে।

এমন পরিস্থিতিতে, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি ক্লাইমওয়ার্কস (Climeworks) সরাসরি বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড (Carbon Dioxide) শুষে নেওয়ার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তাদের এই পদ্ধতি ‘সরাসরি বায়ু ক্যাপচার’ (Direct Air Capture – DAC) নামে পরিচিত।

কিন্তু সম্প্রতি, কোম্পানিটি তাদের কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে, যা প্রযুক্তিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে।

আইসল্যান্ডে ক্লাইমওয়ার্কসের দুটি বিশাল কার্বন ক্যাপচার প্ল্যান্ট রয়েছে, যা অনেকটা বিশাল ভ্যাকুয়াম ক্লিনার-এর মতো কাজ করে। এই প্ল্যান্টগুলো বাতাস থেকে কার্বন টেনে বের করে এবং এটিকে ভূগর্ভে জমা করে, যা পাথরের মতো শক্ত হয়ে জমাট বাঁধে।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বনকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বায়ুমণ্ডল থেকে আলাদা করা সম্ভব। কোম্পানিটি মূলত বিভিন্ন সংস্থাকে তাদের কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়তার জন্য কার্বন ক্রেডিট বিক্রি করে থাকে।

তবে, এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পের পথে বেশ কিছু বাধা তৈরি হয়েছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা তাদের কর্মীসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ কমাতে বাধ্য হয়েছে।

এর প্রধান কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং জলবায়ু নীতির পরিবর্তনকে দায়ী করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রে জলবায়ু বিষয়ক তহবিল হ্রাস করার সিদ্ধান্তের কারণে তাদের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ, লুইজিয়ানাতে একটি নতুন ডিএসি প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল, যেখানে বাইডেন প্রশাসন ৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য জলবায়ু নীতি পরিবর্তনের কারণে সেই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ক্লাইমওয়ার্কস-এর বিরুদ্ধে তাদের প্ল্যান্টগুলোর সম্পূর্ণ উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করতে না পারার অভিযোগও রয়েছে। তাদের ‘ওর্কা’ (Orca) প্ল্যান্ট বছরে সর্বোচ্চ ৪,০০০ টন কার্বন অপসারণ করতে পারলেও, ২০২১ সাল থেকে এটি বছরে ১,৭০০ টনের বেশি কার্বন অপসারণ করতে পারেনি।

এছাড়া, ‘ম্যামথ’ (Mammoth) প্ল্যান্ট, যা গত বছর চালু হয়েছে, তার বার্ষিক সর্বোচ্চ ক্ষমতা ৩৬,০০০ টন হলেও, এখন পর্যন্ত এটি মাত্র ৮০০ টনের মতো কার্বন অপসারণ করতে পেরেছে।

যদিও কোম্পানিটি বলছে, তারা তাদের প্রযুক্তির উন্নতি করছে এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিএসি প্রযুক্তি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই প্রযুক্তিকে সফল করতে হলে, একদিকে যেমন কার্বন অপসারণের খরচ কমাতে হবে, তেমনই কার্বন ক্রেডিট বাজারের প্রসার ঘটাতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত পরিবর্তন এবং জলবায়ু বিষয়ক তহবিলে কাটছাঁট এই প্রযুক্তির বিকাশে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

তবে, ক্লাইমওয়ার্কসের সমস্যাগুলো ডিএসি প্রযুক্তির বৃহত্তর চিত্র তুলে ধরে। পরিবেশ বিষয়ক আইনজীবী লিলি ফুর-এর মতে, ক্লাইমওয়ার্কসের সমস্যাগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ডিএসি শিল্পের বিদ্যমান প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যেখানে এই ধরনের পরীক্ষামূলক প্রযুক্তি এখনো অনেক দূরের পথ পাড়ি দিতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি, বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন অপসারণের মতো প্রযুক্তিগুলো এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তবে, এই প্রযুক্তির সফলতা নির্ভর করবে উদ্ভাবন, সরকারি নীতি এবং কার্বন ক্রেডিট বাজারের ওপর।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT