1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
July 20, 2025 6:54 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
আতঙ্কে উদ্বাস্তু! স্বাস্থ্যখাতে বড় ধাক্কা, অভিবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত! মৃত্যুর পরেও, বাজারে থাকছে জিন থেরাপি! – প্রস্তুতকারকের ঘোষণা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট: বেদুঈনদের প্রতি যুদ্ধবিরতি পালনের আহ্বান! গাজায় খাদ্য নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩২ ফিলিস্তিনি! কঙ্গো: বিদ্রোহীদের সাথে শান্তি আলোচনা, কী হতে চলেছে? বিমানবন্দরে নতুন বোমা স্ক্যানার: এখনো কেন সব জায়গায় নেই? লস অ্যাঞ্জেলেসে বিস্ফোরণ: বিস্ফোরক ইউনিটের ভয়ংকর প্রশিক্ষণ! ট্রাম্পের চমক! স্থিতিশীল কয়েন নিয়ে নতুন আইন, উচ্ছ্বসিত ক্রিপ্টো জগৎ কাপ্তাই বাংলা কলোনি মসজিদের মুয়াজ্জিন ইন্তেকাল, শোকের ছায়া  নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা 

রমজানের ভোরে ড্রামের শব্দ: ঘুম ভাঙানো মানুষটির ভালোবাসার গল্প!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Thursday, March 27, 2025,

রমজান মাস জুড়ে ভোর রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে যিনি হাঁক দেন, “ওঠো গো, সেহেরীর সময় হয়েছে!”— মিশরের কায়রোর রাস্তায় হাতে ড্রাম নিয়ে ভোরে এই ডাক দেওয়া লোকটির নাম মুসাহারাতি। শুধু মিশর নয়, লেবাননের সিডন কিংবা ভারতের পুরনো দিল্লিতেও এই দৃশ্য এখনো দেখা যায়।

রমজান মাস মুসলিমদের জন্য একটি পবিত্র সময়, যখন সকলে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখেন। আর এই সময়ে সেহেরীর জন্য মানুষকে জাগানোর কাজটি করেন মুসাহারাতিরা, যা মুসলিম সংস্কৃতিতে গভীর তাৎপর্য বহন করে।

মুসাহারাতি সাধারণত একজন বয়স্ক ব্যক্তি হন, যিনি হাতে ড্রাম নিয়ে প্রতিটি বাড়ির সামনে যান। ড্রামের আওয়াজ আর বিশেষ কিছু ইসলামিক শব্দ উচ্চারণ করে তিনি ঘুমন্ত মানুষকে জাগিয়ে তোলেন।

এই কাজটি শুধু একটি প্রথা নয়, বরং এটি একটি ভালোবাসার বন্ধনও তৈরি করে। পাড়া-মহল্লার শিশুরা তাদের খুব চেনে, তাদের সঙ্গে মেশে।

মিশরের কায়রোর বাসিন্দা এসাম সাঈদ তার বাবার কাছ থেকে পাওয়া ড্রামটি বাজিয়ে আজও এই কাজটি করেন। তিনি তার পরিচিত শিশুদের নাম ধরে ডাকেন, “মায়া! মেন্না! ওঠো, সেহেরীর সময় হয়েছে!”

লেবাননের সিডনের বাসিন্দা মাহমুদ ফানাসও তার বাবার মতোই এই কাজটি করেন। তিনি বলেন, “ইয়া নাইম, ওয়াহহিদিল দাইম” অর্থাৎ, “হে ঘুমন্ত, এক আল্লাহর ইবাদত করো।”

তাদের এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার পেছনে রয়েছে গভীর আবেগ। আধুনিক যুগে অ্যালার্ম ঘড়ি বা মোবাইল ফোনের কল্যাণে মানুষ সহজেই সেহেরীর জন্য জেগে উঠতে পারে, কিন্তু মুসাহারাতিদের এই ঐতিহ্য এখনো অনেক জায়গায় টিকে আছে, কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভালোবাসার এক গভীর সম্পর্ক।

তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে মানুষ এখন অ্যালার্মের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ভারতের পুরনো দিল্লিতে উমার ইরশাদ নামের এক ব্যক্তি এখনো এই কাজটি করেন।

তিনি জানান, এই কাজটি তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করেন। দিল্লিতে এই ঐতিহ্য দ্রুত হারিয়ে গেলেও, তিনি চান যতদিন বাঁচেন, ততদিন এই কাজটি করে যেতে।

বাংলাদেশেও ভোর রাতে সেহেরীর সময় মসজিদের মাইকে আজান দেওয়া হয়। এছাড়া অনেক এলাকায় পাড়ার মুরুব্বিরা মানুষকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন।

হয়তো তাদের কাজ করার ধরন আলাদা, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য একই— রোজাদারদের সেহেরীর জন্য প্রস্তুত করা। এই ঐতিহ্যগুলো শুধু একটি সংস্কৃতি নয়, বরং এটি একটি সম্প্রদায়ের বন্ধন, যা রমজান মাসের পবিত্রতা আরও বাড়িয়ে তোলে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT