যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) দুই প্রকৌশলী, যারা জনপ্রিয় শিশু চরিত্র প্যাডিংটন বিয়ারের একটি মূর্তি ভাঙচুর করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। গত মার্চ মাসে, ব্রিটেনের নিউবেরিতে, প্যাডিংটন বিয়ারের নির্মাতার শহরেই এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার, রিডিং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত দুই সেনা সদস্য তাদের অপরাধ স্বীকার করেন।
আদালতে শুনানিতে বিচারক স্যাম গজু এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “প্যাডিংটন বিয়ার দয়া, সহনশীলতা এবং সমাজের একতাকে তুলে ধরে। অভিযুক্তদের এই কাজ প্যাডিংটনের চরিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত।”
জানা যায়, ঘটনার দিন ড্যানিয়েল হিথ এবং উইলিয়াম লরেন্স নামের দুই আরএএফ সদস্য মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তারা প্যাডিংটনের একটি মূর্তিকে লাথি মেরে ভেঙে ফেলেন এবং এর কিছু অংশ ট্যাক্সি করে তাদের ঘাঁটিতে নিয়ে যান।
আদালত এই ঘটনাকে “বিবেকহীন ভাঙচুর” হিসেবে বর্ণনা করেছে।
প্যাডিংটন বিয়ার, যার গায়ে সবসময় নীল কোট ও লাল টুপি দেখা যায়, শিশুদের কাছে খুবই প্রিয় একটি চরিত্র। গল্পে, পেরু থেকে আসা এই অনাথ ভালুকটিকে ইংল্যান্ডে আশ্রয় দেওয়া হয়।
ভাঙা মূর্তিটি ছিল গত বছর ইংল্যান্ডজুড়ে “প্যাডিংটন ইন পেরু” প্রচারণার অংশ হিসেবে স্থাপন করা ২৩টি মূর্তির মধ্যে একটি। মূর্তিটির গায়ে লেখা ছিল, “দয়া করে এই ভালুকটির যত্ন নিন।”
আদালত অভিযুক্তদের জনসেবামূলক কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তি মেরামতের জন্য প্রত্যেককে ২,৭২৫ পাউন্ড জরিমানা করার নির্দেশ দেয়।
এই জরিমানার পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সমান।
রয়্যাল এয়ার ফোর্স (আরএএফ) জানিয়েছে, তারা আদালতের রায় পর্যালোচনা করবে এবং এই বিষয়ে অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবস্থা নেবে। তবে, তারা এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
বর্তমানে, মূর্তিটি মেরামতের কাজ চলছে এবং খুব শীঘ্রই এটি পুনরায় স্থাপন করা হবে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস