মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি’র মধ্যে সম্প্রতি একটি ফলপ্রসূ ফোনালাপ হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য-সংঘাতের মধ্যেই এই আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প এই ফোনালাপকে অত্যন্ত উৎপাদনশীল হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা আগের তিক্ততা থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে কার্নি’র দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম তাদের মধ্যে কথা হলো। দুই সপ্তাহ আগে কার্নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে কার্নি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কানাডিয়ান পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি কানাডার বিভিন্ন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। কার্নি এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “আমি কানাডাকে দুর্বল করার বা আমাদের ভেঙে দেওয়ার যেকোনো চেষ্টা প্রত্যাখ্যান করি, যাতে আমেরিকা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটা কখনোই হবে না।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ট্রাম্পের নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্ক এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ককে নতুন করে সাজাতে আগ্রহী। তিনি জানান, আগেকার গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং নিবিড় নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতা এখন অতীত। যদিও তিনি দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো সমাধানে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কার্নি ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফর করেছেন। তবে তিনি এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেননি। আগামী ২৮শে এপ্রিল কানাডায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে ট্রাম্পের সঙ্গে কার্নি’র এই ফোনালাপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রুডোর পদত্যাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে জনমত জরিপে কার্নি’র দল লিবারেল পার্টি উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ট্রাম্প ইতোমধ্যেই কানাডার সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সতর্ক করেছেন এবং উভয় পক্ষের জন্য আরও বেশি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা