যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে বর্তমানে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মিসৌরিতে অস্ত্রোপচার-ভিত্তিক গর্ভপাত আবার চালু হলেও, ঔষধের মাধ্যমে গর্ভপাত প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর সূত্রে জানা যায়, নভেম্বরে রাজ্যের ভোটাররা গর্ভপাতের অধিকারকে সমর্থন করে একটি সাংবিধানিক সংশোধনী গ্রহণ করেছিলেন। এরপরেও রাজ্যে গর্ভপাত নিয়ে জটিলতা কাটেনি।
সেন্ট লুই, কানসাস সিটি ও কলম্বিয়া শহরে প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ক্লিনিকগুলোতে অস্ত্রোপচার-ভিত্তিক গর্ভপাত পরিষেবা পুনরায় শুরু হয়েছে। তবে, স্বাস্থ্য বিভাগ ঔষধের মাধ্যমে গর্ভপাতের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। নতুন কিছু নিয়ম তৈরি করার কারণে ঔষধের মাধ্যমে গর্ভপাত পরিষেবা দেওয়া বর্তমানে সম্ভব হচ্ছে না।
আদালতে এই আইনের বৈধতা নিয়ে মামলা চলছে, যা সম্ভবত ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে শুনানির জন্য উঠবে। প্ল্যানড প্যারেন্টহুড-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ঔষধের মাধ্যমে গর্ভপাত পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত ছিল, কিন্তু নতুন নিয়মের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে গর্ভপাত সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিলে তার মোকাবিলার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মিসৌরির রিপাবলিকানপন্থী আইনপ্রণেতারা গর্ভপাত সীমিত করার জন্য নতুন করে চেষ্টা চালাচ্ছেন। হাউস স্পিকার জন প্যাটারসন জানিয়েছেন, গর্ভপাত সংক্রান্ত আরও কিছু বিধিনিষেধ আরোপের জন্য একটি নতুন সাংবিধানিক সংশোধনী প্রস্তাব করা হতে পারে। এই প্রস্তাবনার ফলে গর্ভপাতের ওপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, কোনো সংশোধনী কার্যকর করতে হলে তা অবশ্যই ভোটারদের অনুমোদন পেতে হবে।
প্ল্যানড প্যারেন্টহুডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্গট রিফাগেন বলেছেন, তারা রোগীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে সর্বদা প্রস্তুত। অন্যদিকে, মিসৌরির অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যান্ড্রু বেইলি জানিয়েছেন, রাজ্যের আইন মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, মিসৌরিতে গর্ভপাতের অধিকার একটি জটিল আইনি বিতর্কের মধ্যে রয়েছে। একদিকে যেমন অস্ত্রোপচার-ভিত্তিক গর্ভপাত চালু হয়েছে, তেমনই ঔষধের মাধ্যমে গর্ভপাতের ওপর বিধিনিষেধ বহাল রয়েছে। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেদিকেই এখন সকলের নজর।
তথ্য সূত্র: সিএনএন