প্রিন্স হ্যারির বিরুদ্ধে ‘ব্যাপকহারে’ হয়রানি ও অত্যাচারের অভিযোগ, চ্যারিটির প্রধানের বিস্ফোরক মন্তব্য।
ব্রিটেনের রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারির বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ আনলেন তিনি যে চ্যারিটির প্রতিষ্ঠাতা, সেই সেন্টেবেলের প্রধান। চ্যারিটির বর্তমান চেয়ার ড. সোফি চান্দাউকা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, প্রিন্স হ্যারি তাকে ও তার সহকর্মীদের ওপর ‘ব্যাপকহারে’ হয়রানি ও অত্যাচার করেছেন।
খবরটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
লেসোথোর শিশুদের সাহায্যার্থে কাজ করা এই চ্যারিটিটি মূলত এইচআইভি ও এইডস আক্রান্ত কিশোর-কিশোরীদের সহায়তা করে থাকে। জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রিন্স হ্যারি এবং চ্যারিটির বোর্ডের কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করেন।
এর পরেই ড. চান্দাউকা এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, প্রিন্স হ্যারি মঙ্গলবার এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যা ছিল ‘হয়রানি ও অত্যাচারের’ সামিল।
ড. চান্দাউকা জানান, প্রিন্স হ্যারি তাকে বা চ্যারিটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের কিছু না জানিয়েই গণমাধ্যমে একটি ‘ক্ষতিকর খবর’ প্রকাশ করেন। তার মতে, এই কাজটি ছিল হয়রানির একটি উদাহরণ।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ক্ষমতা অপব্যবহার, দুর্বল পরিচালনা এবং কর্মীদের প্রতি খারাপ আচরণের মতো ঘটনা ঘটেছে।
প্রিন্স হ্যারি ও লেসোথোর প্রিন্স সিয়িসো ২০০৬ সালে সেন্টেবেল প্রতিষ্ঠা করেন। সম্প্রতি প্রিন্স হ্যারি এবং প্রিন্স সিয়িসো এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, তারা বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
তাদের এই পদত্যাগের কারণ হিসেবে ড. চান্দাউকার সঙ্গে মতবিরোধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গেছে, চ্যারিটির তহবিল সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে তাদের মধ্যে বিতর্ক চলছিল।
তবে, প্রিন্স হ্যারির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র স্কাই নিউজকে জানিয়েছে, ড. চান্দাউকার অভিযোগ ভিত্তিহীন। সূত্রটি দাবি করেছে, প্রিন্স হ্যারি বা তার দলবলের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে হ্যারি তার মা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর কঠিন সময়ে সেন্টেবেলের কাছ থেকে পাওয়া সমর্থনকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই চ্যারিটি তাকে জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু শিখিয়েছে।
তবে, প্রিন্স হ্যারির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।