যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে। সম্প্রতি এই ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সহিংস অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায়, মার্কিন নাগরিকদের সেখানে ভ্রমণে পুনরায় বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
২১শে মার্চ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই ঘোষণা দেয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে মারামারি, ডাকাতি এবং অপহরণের মতো ঘটনা বেড়েছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, কর্তৃপক্ষ গত বছরের ৩০শে ডিসেম্বর দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে, যা ১৩ই জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
পোর্ট অফ স্পেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এখানকার কিছু অঞ্চলে বর্তমানে মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রবেশাধিকারও সীমিত করা হয়েছে। ত্রিনিদাদের রাজধানী পোর্ট অফ স্পেনের পরিস্থিতি পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে, কিছু ক্রুজ কোম্পানি, যেমন – রয়্যাল ক্যারিবিয়ান এবং কার্নিভালের প্রিন্সেস ক্রুজ, তাদের ২০২৩ সালের পরিকল্পনা অনুযায়ী পোর্ট অফ স্পেনে যাত্রা অব্যাহত রাখবে। এমতাবস্থায়, ক্রুজে ভ্রমণকারীদের সুরক্ষিত এলাকাতেই থাকতে এবং ক্রুজ লাইনের দেওয়া ভ্রমণে অংশ নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ভ্রমণ বিষয়ক যে পরামর্শ দিয়ে থাকে, তার একটি স্তর রয়েছে। এর মধ্যে, ‘লেভেল ৩: পুনরায় ভ্রমণের কথা বিবেচনা করুন’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর অর্থ হল, ভ্রমণকারীদের সেখানে ভ্রমণের আগে বিশেষভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, বিশেষ করে এখানকার পোর্ট অফ স্পেনের বার্ষিক কার্নিভালের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত। এছাড়াও, এখানকার টোবাগো দ্বীপটিতে রয়েছে সুন্দর সমুদ্র সৈকত এবং পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনভূমি।
যদি কোনো পর্যটকের ইতিমধ্যেই টিকিট কাটা থাকে অথবা জরুরি প্রয়োজনে সেখানে যেতে হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ‘স্মার্ট ট্রাভেলার এনরোলমেন্ট প্রোগ্রাম’ (STEP)-এ নাম লেখানোর পরামর্শ দিয়েছে। এর মাধ্যমে, জরুরি অবস্থায় দূতাবাস থেকে সতর্কতা বার্তা পাওয়া এবং সাহায্য পাওয়া সহজ হবে।
এছাড়াও, ভ্রমণকারীদের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিবেদন দেখে নেওয়া এবং ভ্রমণ বীমা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত, রাতে হাঁটাচলার সময় এবং নির্জন এলাকা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
ভ্রমণের আগে, জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুতি নিতে ‘ট্রাভেলার্স চেকলিস্ট’ দেখা যেতে পারে অথবা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য জানা যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার