সংযুক্ত আরব আমিরাতে (United Arab Emirates) এক আদালত ইসরায়েলি-মলদোভীয় রাব্বি জভি কোগানের হত্যাকাণ্ডের দায়ে তিনজন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সোমবার প্রকাশিত খবরে জানা যায়, আবু ধাবি ফেডারেল কোর্ট অফ আপিলস-এর স্টেট সিকিউরিটি চেম্বারে এই মামলার শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
একইসঙ্গে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অপর একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা WAM জানিয়েছে, অভিযুক্তদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গেছে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে তুরস্ক থেকে তিন উজবেক নাগরিককে গ্রেপ্তার করে আমিরাতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।
আদালতের রিপোর্টে প্রকাশ, “অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভিকটিমকে অনুসরণ করে হত্যা করেছে।” সরকারি কৌঁসুলিরা আদালতে যে প্রমাণ পেশ করেছেন, তার মধ্যে ছিল অভিযুক্তদের বিস্তারিত স্বীকারোক্তি, যা হত্যা ও অপহরণের সাথে সম্পর্কিত।
এছাড়াও, ফরেনসিক রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের ফলাফল, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের বিবরণ এবং সাক্ষীদের জবানবন্দি আদালতের কাছে পেশ করা হয়েছে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ায় মুসলিম বিশ্বে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও আমিরাত কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত হত্যার কারণ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি।
তবে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে একটি “শক্তির অক্ষ” জড়িত থাকতে পারে, যা সাধারণত ইরান ও তার মিত্রদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে দুবাইতে ইসরায়েলিদের আনাগোনা বেড়েছে। নিহত রাব্বি জভি কোগান ছিলেন চরম-রক্ষণশীল ইহুদি সম্প্রদায়ের একজন সদস্য এবং তিনি দুবাইতে একটি কোশার মুদি দোকান চালাতেন।
কোগান ছিলেন ‘চাবাদ লুবাভিচ’ আন্দোলনের একজন প্রতিনিধি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি স্বৈরতান্ত্রিক দেশ, যেখানে মৃত্যুদণ্ডের মতো গুরুতর মামলার বিচার বিরল। সাধারণত, আপিল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
আমিরাতে সাধারণত ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস