**বাস্তবে যেন ‘ঘরের মাঠ’! রেকর্ড গড়ার পথে সেল্টিকস**
বাস্কেটবল বিশ্বে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বোস্টন সেল্টিকস। মাঠের খেলায় তারা যেন উড়ছেন! সম্প্রতি, প্রতিপক্ষের মাঠে টানা জয়ের ধারা বজায় রেখে নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছে এই দল।
এনবিএ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়ার খুব কাছে তারা।
ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম লেখানোর লক্ষ্যে সেল্টিকস এখন পর্যন্ত অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতেছে ৩২টি খেলায়, হেরেছে মাত্র ৭টিতে। তাদের সামনে এখন একটিই লক্ষ্য—গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্স এর করা রেকর্ডটি স্পর্শ করা।
২০১৫-১৬ মৌসুমে ওয়ারিয়র্স অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩৪টি জয় তুলে নিয়েছিল। সেল্টিকস-এর হাতে এখনো দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ বাকি। আগামী ৮ই এপ্রিল নিউ ইয়র্ক এবং ৯ই এপ্রিল তারা খেলবে অরল্যান্ডোর বিরুদ্ধে।
সেল্টিকস-এর কোচ জো ম্যাজুলা এই সাফল্যের রহস্য নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, আমাদের খেলোয়াড়েরা মাঠ যেখানেই হোক, ভালো খেলতেই প্রস্তুত।
শুধু তাই নয়, প্রতিপক্ষের মাঠে টানা ১০ বা তার বেশি পয়েন্টের ব্যবধানে জেতার ক্ষেত্রেও সেল্টিকস বেশ এগিয়ে। তারা এখন পর্যন্ত এমন ২৩টি জয় পেয়েছে।
এই দিক দিয়ে তারা ১৯৭২ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্স এর কাছাকাছি চলে এসেছে, যারা এই ধরনের জয় পেয়েছিল ২৪টি।
কোচ ম্যাজুলা আরও যোগ করেন, “আমরা ধারাবাহিক বাস্কেটবল খেলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। প্রত্যেক বছর, একই দলের মধ্যে কিছু বিশেষত্ব তৈরি হয়। এবার আমাদের প্রধান শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার মানসিকতা।
তবে, রেকর্ড গড়ার দৌড়ে পিছিয়ে নেই ওকলাহোমা সিটি থান্ডারের মতো শক্তিশালী দলও। তাদেরও সুযোগ রয়েছে গোল্ডেন স্টেটের রেকর্ড স্পর্শ করার।
অ্যাওয়ে ম্যাচে তাদের জয় ২৯টি, হার ৭টি। প্লে-অফের আগে তাদের হাতে এখনো চারটি অ্যাওয়ে ম্যাচ রয়েছে। বাজি ধরার ওয়েবসাইট BetMGM Sportsbook অনুসারে, এনবিএ ফাইনাল জেতার ক্ষেত্রেও এই মুহূর্তে থান্ডার এগিয়ে রয়েছে।
অন্যদিকে, বোস্টন সেল্টিকস-এর প্লে-অফে ভালো করার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে।
সেল্টিকস খেলোয়াড় আল হারফোর্ড বলেছেন, “আমরা সবসময় মনোযোগ দিয়ে খেলি। গত বছরও আমরা ভালো খেলেছি, তবে প্লে-অফে অ্যাওয়ে ম্যাচে আমরা দারুণভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পেরেছি। এটা সত্যিই বিশেষ কিছু।”
খেলাধুলার জগতে, বিশেষ করে বাস্কেটবলে, রেকর্ড ভাঙা-গড়ার এই লড়াই সবসময়ই দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয়। সেল্টিকস-এর এই সাফল্যের ধারা ভবিষ্যতে আরও কতদূর গড়াবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস