যুগপূর্তি উপলক্ষে বিএমএসএফ’র শুভেচ্ছা।
সাংবাদিকদের স্বার্থ, অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষা আন্দোলনের সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক বিএমএসএফ-বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ১৫ জুলাই ১২ বছর পেরিয়ে ১৩ বছরে পদার্পন করতে যাচ্ছে।
প্রিয় সংগঠনের যুগপূর্তি উপলক্ষে সারাদেশের শাখা সমূহ নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করবে। আগামী ৩০ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবে কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজন সারাদেশের সাংবাদিক সদস্যদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
সংগঠনটির এই শুভক্ষণে সকল সদস্য, নেতাকর্মী, আইন উপদেষ্টা, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দেশবাসিকে শুভেচ্ছা -অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর।
তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন যারা বিএমএসএফ’র ১৪ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন তাঁদের প্রতি। একই সাথে তিনি বিএমএসএফ’র সংবাদ যে সকল মিডিয়ায় প্রচার-প্রকাশ করে আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছেন এবং করবেন তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ঝালকাঠির কৃতি সন্তান আহমেদ আবু জাফর সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘ সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় রাজধানীর পুরানা পল্টনে এবং এখন নয়া পল্টন থেকে সারা বাংলাদেশে ৩ শতাধিক শাখা ছাড়াও দেশের বাইরে ৬টি শাখা কমিটি ১৪ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের সাথে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
১৪ দফা দাবি সমূহের মধ্যে সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন, সরকার ঘোষিত ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এ আন্দোলনের বাইরেও সংগঠনটি সাংবাদিকদের জন্য জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ নামে একটি সপ্তাহের জন্য গত ৮বছর ধরে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি চালিয়ে আসছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সাংবাদিকদের দায়বদ্ধতাসহ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস রক্ষায় সারাদেশের সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বিএমএসএফ প্রতি বছর পহেলা ডিসেম্বর দু’দিন ব্যাপী বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এবছর ২০২৪ সালের পহেলা ডিসেম্বর নবম বারের মত বিজয় শোভাযাত্রা উদযাপন করা হবে। সাংবাদিকদের পেশাগত সুরক্ষা, নিরাপত্তা, নিরাপদে কাজের জন্য সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি আদায়ের আন্দোলন গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আইনটি প্রণয়নের জন্য মহান জাতীয় সংসদকে অনুরোধ জানিয়ে আহবান করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে মহান জাতীয় সংসদে আইনটি প্রণীত হবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকে ২০২২ সালে সংগঠনটি ট্রাস্টি আইনে নিবন্ধন এবং কপিরাইট অধিদপ্তর থেকে কপিরাইট সনদ লাভ করে। সংগঠনটি সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য ২০২০ সালে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, বাংলাদেশ নামে একটি সহযোগি সংগঠন গড়ে তোলে। এছাড়া ঢাকার বাইরের সাংবাদিকরা নিরাপদে ঢাকায় এসে আশ্রয়ের জন্য জার্নালিস্ট শেল্টার হোম নামে একটি সেবামূলক কার্যক্রম ২০২২ সাল থেকে চলমান রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে এ যাবত প্রায় দুই শতাধিক নির্যাতিত এবং মামলার শিকার সাংবাদিককে বিনামূল্যে আইনী পরামর্শ এবং সহযোগিতা করা হয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে মুজিব জন্ম শত বর্ষ ও জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ উপলক্ষে ২ হাজার সাংবাদিককে বিনামূল্যে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে অপেক্ষমান প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র প্রদান করা হবে।
সারাদেশে প্রায় ২০ হাজার সদস্য সাংবাদিক ১৪ দফা দাবি আদায় আন্দোলনের সাথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। এ বছর সংগঠনটির যুগপূর্তি উপলক্ষে নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান ১৫- ৩০ জুলাই পর্যন্ত চলবে। সংগঠন যার যার ১৪ দফা সবার। এ শ্লোগানকে ধারণ করে আসুন; সাংবাদিকদের কল্যাণ, অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষায় বিএমএসএফ’র সাথে আপনিও ঐক্যবদ্ধ হোন। সাংবাদিক নির্যাতনমুক্ত আগামীর বাংলাদেশ গড়তে আপনিও সহযোগী হউন (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)।