প্রখ্যাত অভিনেতা ভ্যাল কিলমারের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি: দর্শকদের চোখে এক বহুমুখী প্রতিভার প্রতিচ্ছবি।
নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে হাল আমল পর্যন্ত, হলিউডের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে ভ্যাল কিলমার একটি পরিচিত নাম। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই অভিনেতা শুধু অভিনয় দিয়েই জয় করেছেন অসংখ্য দর্শকের মন।
সম্প্রতি, তাঁর অভিনয় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে দর্শকদের স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে কিলমারের অভিনয় জীবনের নানা অজানা গল্প।
কিলমারের অভিনয় জীবনের কথা বলতে গেলে সবার আগে আসে তাঁর চরিত্র নির্বাচনের মুন্সিয়ানার কথা। ‘ডোরস’ ছবিতে জিম মরিসন চরিত্রে তাঁর অভিনয় আজও দর্শক হৃদয়ে গেঁথে আছে।
সিনেমায় মরিসনের চরিত্রে কিলমারের অভিনয় এতটাই বাস্তবসম্মত ছিল যে, অনেকেই আজও মনে করেন, যেন পর্দায় খোদ জিম মরিসনকেই তাঁরা নতুন করে আবিষ্কার করেছিলেন।
‘টুম্বস্টোন’ ছবিতে ডক হলিডের চরিত্রে তাঁর অভিনয়ও বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এই ছবিতে তিনি এতটাই সাবলীল ছিলেন যে, দর্শক হিসেবে কিলমারের অভিনয় উপভোগ করাটা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
অভিনয়ের বাইরে কিলমারের মানবিক দিকটিও অনেকের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয়। তাঁর সহকর্মীদের প্রতি তাঁর ব্যবহার ছিল অত্যন্ত আন্তরিক।
একবার, একটি সিনেমার শুটিংয়ের সময় তাঁর এক সহকারীর মায়ের মৃত্যু হলে, তিনি গভীর শোক প্রকাশ করে ফুল পাঠিয়েছিলেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাঁকে ডাকার জন্য নিজের ব্যক্তিগত নম্বরও দিয়েছিলেন।
এমন একজন মানুষের মানবিক দিক নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
কিলমারের অভিনয় জীবনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, তিনি সবসময় নিজেকে একটি নির্দিষ্ট গন্ডিতে আবদ্ধ রাখতে চাননি। ‘ব্যাটম্যান’ ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা তাঁর ভালো ছিল না, এমনটাই শোনা যায়।
তিনি চেয়েছিলেন, অভিনয় দিয়ে মানুষের মনে গভীর ছাপ রাখতে, যা হয়তো সুপারহিরোর চরিত্রে আবদ্ধ থাকলে সম্ভব ছিল না।
‘থান্ডারহার্ট’ ছবিতে কিলমারের অভিনয় তাঁর অভিনয় জীবনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই ছবিতে তিনি আদিবাসী আমেরিকানদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রাকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন, যা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
ভ্যাল কিলমারের অভিনয় জীবন, তাঁর কাজের প্রতি নিষ্ঠা, এবং মানবিক গুণাবলী – সবকিছু মিলিয়ে তিনি দর্শকদের কাছে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবেন। তাঁর অভিনয় আজও সিনেমাপ্রেমীদের মনে গেঁথে আছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian