অস্ট্রেলিয়ার সিডনিগামী একটি বিমানে জরুরি দরোজা খোলার চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শাদি তাইসির আলসায়েদাহ, তাঁর বয়স ৪৬ বছর এবং তিনি জর্ডানের নাগরিক।
গত শনিবার রাতে কুয়ালালামপুর থেকে আসা এয়ার এশিয়া এক্স-এর একটি ফ্লাইটে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফ্লাইটটি আকাশে থাকাকালীন সময়ে ওই ব্যক্তি বিমানের পেছনের একটি জরুরি নির্গমন পথ খোলার চেষ্টা করেন।
এরপর বিমানের কর্মীরা তাঁকে অন্য একটি আসনে নিয়ে গেলে, তিনি আবারও অন্য একটি জরুরি দরোজা খোলার চেষ্টা করেন।
এসময় বিমানের ক্রু ও অন্যান্য যাত্রীরা মিলে তাকে নিবৃত্ত করেন।
অভিযোগ উঠেছে, ওই ব্যক্তি বিমানের এক কর্মীর ওপর হামলাও চালিয়েছিলেন।
বিমানটি সিডনিতে অবতরণের পর পরই অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ (এএফপি)-এর সদস্যরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
তাঁর বিরুদ্ধে দুটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে—বিমানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এবং বিমানের কর্মীদের ওপর হামলা করা।
প্রতিটি অভিযোগের জন্য তাঁর ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
এএফপি’র ভারপ্রাপ্ত ডিটেকটিভ সুপারিনটেনডেন্ট ডেভিনা কোপেলিন জানান, বিমানে এ ধরনের বিপজ্জনক আচরণ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, “এই ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা ছিল।
বিমানের যাত্রী ও কর্মীদের এমন অপ্রীতিকর, সহিংস বা বিপজ্জনক পরিস্থিতির শিকার হওয়া উচিত নয়।
বিমানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে যাদের আচরণ যাত্রী, ক্রু বা বিমানের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এএফপি দ্বিধা করবে না।”
এদিকে, এয়ার এশিয়া এক্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের ফ্লাইটে ‘অবাঞ্ছিত’ এক যাত্রীর এমন আচরণের কারণে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।
বিমানের কর্মীদের প্রশিক্ষণ রয়েছে এবং তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।
এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস করা হয়নি।
ঘটনার পর এয়ার এশিয়া কর্তৃপক্ষ এএফপি-কে বিষয়টি জানায় এবং তাঁদের সহযোগিতায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বর্তমানে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন থাকায় তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি নয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান