1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
July 18, 2025 5:00 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি কালুকে ৫ টি টিকিটসহ গ্রেফতার করেন, রেলওয়ে থানা পুলিশ এনসিপি নেতৃবৃন্দের উপর হামলার প্রতিবাদে মাদারীপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ কাপ্তাই প্রজেক্ট  শহীদ আলমগীর এর ৩৮তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন  কাপ্তাইয়ে ২৪এর রঙে  গ্রাফিতি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা  পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই যোদ্ধারা শোনালেন জুলাইয়ের দুঃসহ স্মৃতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাজেট কাটছাঁট: সিনেটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত! লামিন ইয়ামালের জন্মদিনের পার্টি: বিতর্ক! বামনদের নিয়ে মন্তব্যে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া ইরাকের কুতে বহুতল ভবনে আগুন, নিহত বহু! যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক অধিকারের সঙ্কট: জরুরি অবস্থা ঘোষণা! গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মাদারীপুরে এনসিপির সমাবেশ স্থগিত

অবাক করা খবর! ইউরোপ বা এশিয়া নয়, বিশ্বের এক নম্বর খাদ্য শহর!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Wednesday, April 9, 2025,

শিরোনাম: বিশ্বের সেরা খাদ্য গন্তব্য হিসেবে মেলবোর্ন: খাদ্যরসিকদের জন্য এক নতুন দিগন্ত।

ভ্রমণ ভালোবাসেন এমন মানুষেরা প্রায়ই নতুন রেস্তোরাঁ বা খাবারের অভিজ্ঞতার খোঁজে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান। সম্প্রতি, যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ভ্রমণ সংস্থা ‘ট্র্যাভেলব্যাগ’-এর একটি সমীক্ষায় বিশ্বের সেরা খাদ্য গন্তব্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহর।

এই শহরের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া, যা একে অন্যান্য শহর থেকে আলাদা করে তোলে। সমীক্ষাটি সামাজিক মাধ্যম, ওপেনটেবল এবং গেট ইউর গাইডের তথ্য ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

তালিকায় মেলবোর্নের পরেই রয়েছে টরন্টো, দুবাই এবং সিডনির নাম। মেলবোর্নের এই সাফল্যের মূল কারণ হলো এর রন্ধনশৈলীর বিশাল বৈচিত্র্য।

এখানে প্রায় ১০০টির বেশি ভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদ উপভোগ করা যায়, যা শহরের সাড়ে তিন হাজারের বেশি রেস্তোরাঁয় পরিবেশিত হয়।

মেলবোর্নের খাদ্য সংস্কৃতি শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করে না, বরং এটি শহরের সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের প্রতিচ্ছবিও। শহরের কেন্দ্রস্থলে (CBD) অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম চাইনিজ শহরতলীতে (Chinatown) ১৮৫০ সাল থেকে চীনা সম্প্রদায়ের বসবাস।

এখানে রয়েছে অসংখ্য ডাম্পলিং-এর দোকান, যেখানে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদেরও আনাগোনা দেখা যায়। এখানকার ‘লিটল বোরকে স্ট্রিট’-এর গলিগুলোতে খাবারের স্বাদ নিতে ভিড় করেন ভোজনরসিকরা।

মেলবোর্নে গ্রিক সম্প্রদায়েরও একটি বড় অংশ বসবাস করে, যা গ্রিসের বাইরের বৃহত্তম গ্রিক জনবসতি। এখানকার ‘জিম’স গ্রিক ট্যাভার্ন’-এর মতো স্থানগুলো গ্রিক সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি বহন করে।

এই রেস্তোরাঁয় মেনু ছাড়াই খাবার পরিবেশন করা হয়, যা গ্রাহকদের আপন করে নেয়। এছাড়াও ‘স্ট্যালাকটাইটস’ এখানকার গ্রিক সম্প্রদায়ের কাছে খুবই জনপ্রিয়।

এখানে টেনিস তারকা এবং গায়কদের প্রায়ই দেখা যায়।

অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ‘ভেজিমিট’। এই লবণাক্ত, ঈস্ট-ভিত্তিক খাবারটি অস্ট্রেলিয়ায় বেশ পরিচিত।

মেলবোর্নে, এই ভেজিমিট-এর স্বাদযুক্ত আইসক্রিমও পাওয়া যায় ‘ফ্লাফি টর্পেডো’ নামক একটি দোকানে, যা ভিন্ন স্বাদের আইসক্রিমের জন্য বিখ্যাত।

মেলবোর্নের খাদ্য সংস্কৃতির এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণেই অনেক রেস্তোরাঁ নিজেদের ‘মেলবার্নিয়ান’ হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করে। তাদের মেনু কোনো নির্দিষ্ট ধারায় সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং স্থানীয় এবং তাজা উপকরণ ব্যবহার করে ঋতুভিত্তিক খাবার পরিবেশন করে।

উদাহরণস্বরূপ, ‘এট্টা’ নামক রেস্তোরাঁটি এই ধরনের খাবারের জন্য সুপরিচিত।

থর্নবুরিতে খাঁটি ইথিওপীয় খাবার থেকে শুরু করে কলিংউডের জাপানি বাজার—মেলবোর্নের সবুজ ট্রাম এবং রঙিন মেনুগুলো বিভিন্ন সংস্কৃতির স্বাদ এনে দেয়। এখানে রাস্তার খাবার হিসেবে তাজা সুশি পরিবেশন করা হয়, যা খাদ্যরসিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

এখানকার প্রতিটি খাবার যেন এক একটি নতুন অভিজ্ঞতা।

মেলবোর্ন ভ্রমণের ভিসা প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজ এবং এখানকার জীবনযাত্রার মানও বেশ উন্নত।

সাধারণত, এখানকার খরচ অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT