কঙ্গোর ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানে অন্তত ৫০টি জলহস্তীর মৃত্যু হয়েছে, যার কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, তারা সবাই অ্যানথ্রাক্স নামক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এই জাতীয় উদ্যানটি বন্যপ্রাণীর এক বিশাল আবাসস্থল। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃত জলহস্তীগুলোকে ইশাশা নদীতে ভাসতে দেখা গেছে, যা লেক এডওয়ার্ডের দিকে বয়ে গেছে।
উদ্যোগতারা জানিয়েছেন, অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে, মৃতদেহগুলো সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে দুর্গম এলাকা এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে কাজটি কঠিন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, এই রোগের কারণে বন্য মহিষেরও মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদেহগুলো নদীতে ভেসে যাওয়ার কারণে লেকের পানিতেও এর প্রভাব পড়েছে।
স্থানীয় এক সমাজকর্মী জানিয়েছেন, লেকের পানিতেও অন্তত ২৫টির বেশি জলহস্তীর মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেছে। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বন্যপ্রাণী এড়িয়ে চলতে এবং স্থানীয় উৎস থেকে পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানটি গভীর বন, হিমবাহ এবং আগ্নেয়গিরির জন্য বিখ্যাত। এখানে বিশ্বের অন্যান্য সংরক্ষিত এলাকার চেয়ে বেশি প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী বসবাস করে।
একসময় চোরা শিকার ও যুদ্ধের কারণে এখানে জলহস্তীর সংখ্যা কমে গিয়েছিল, যা ২০ হাজারের বেশি থেকে ২০০৬ সাল নাগাদ কয়েকশ’তে এসে দাঁড়িয়েছিল। বর্তমানে এখানে প্রায় ১,২০০ জলহস্তী রয়েছে।
আফ্রিকার এই অঞ্চলে বন্যপ্রাণীদের মধ্যে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা জনস্বাস্থ্য এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন