1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
August 11, 2025 10:48 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
বাংলাদেশের সাংবাদিকতার সংকট ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ভবিষ্যৎ পথ! মার্কিন রাজনীতি: বার্নি স্যান্ডার্সের বিস্ফোরক মন্তব্য! ডেমোক্রেটদের নিয়ে বড় অভিযোগ বিশাল পুলের মালিক রিক রস! জীবন কেমন কাটে তাঁর? মিলওয়াকিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা! দেখুন কি হলো… গর্ভপাত: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পর বিচারক নিয়োগে কি বদলাবে ছবি? বন্যার তাণ্ডবে! ডাইনোসরের পায়ের ছাপ খুঁজে পাওয়া গেল টেক্সাসে! টেক্সাসের ডেমোক্রেটদের বিদ্রোহ: এরপর কী হবে? গভীর অনিশ্চয়তা! ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক: আলোচনার আগেই কড়া হুঁশিয়ারি! নেপালের রাস্তায় রংধনু মিছিল, এলজিবিটি সম্প্রদায়ের লড়াই! গাজায় জিম্মিদের মুক্তি চেয়ে লন্ডনে মিছিল, বাড়ছে উদ্বেগ!

ভোরের আলোতে পাখির মিষ্টি গান: বসন্তের এক মন মাতানো সুর!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Friday, April 11, 2025,

ভোরের পাখির গান: বসন্তের সকালে শোনা যায় সুরের মূর্ছনা।

বসন্তের আগমন মানেই প্রকৃতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার। আর এই সময়ে ভোরবেলা ঘুম ভাঙলেই শোনা যায় পাখির মিষ্টি কলকাকলি।

এক ঝাঁক পাখির মিলিত কণ্ঠে গান যেন এক সুরের মূর্ছনা সৃষ্টি করে, যা ‘ভোরের পাখির গান’ নামে পরিচিত। এই সময়ে পাখিরা কেন এত জোরে গান গায়, আসুন, সেই বিষয়ে কিছু জানা যাক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাখির এই গান আসলে তাদের প্রজনন ঋতুর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শীতের দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে বসন্তকালে যখন প্রকৃতি জেগে ওঠে, তখন পুরুষ পাখিরা তাদের সঙ্গীর মন জয় করতে গান গায়। এই সময়টাতে তাদের কণ্ঠ আরও জোরালো হয়, যেন অন্যদের চেয়ে তাদের গান বেশি আকর্ষণীয় হয়।

বার্ড কনজার্ভেন্সি-র পক্ষ থেকে জর্ডান ই. রুটার বলেন, “বসন্ত যেন প্রকৃতির এক অসাধারণ রূপ। শীতের পরে যখন এত সুন্দর পাখি ফিরে আসে, তাদের গান শোনা মনকে শান্তি এনে দেয়।”

পুরুষ পাখিরা তাদের এলাকা চিহ্নিত করতেও এই গান ব্যবহার করে। তারা তাদের কণ্ঠের মাধ্যমে অন্য পুরুষ পাখিদের জানায় যে, এটি তাদের এলাকা এবং এখানে তাদের আধিপত্য রয়েছে। এটি অনেকটা নিজেদের মধ্যেকার যোগাযোগের মতো।

সাধারণত, উত্তর আমেরিকা ও কানাডায় মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত এই ‘ভোরের পাখির গান’ শোনা যায়। তবে স্থানভেদে এর সময় ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে এপ্রিল মাসে এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে মে মাসের শুরুতে এর সেরা দৃশ্য দেখা যায়।

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে, যেখানে উষ্ণ আবহাওয়া থাকে, সেখানে প্রায় সারা বছরই এই গান শোনা যেতে পারে।

তাহলে, ভোরবেলাতেই কেন পাখিরা গান গায়? কর্নেল ল্যাব অব অরনিথোলজির পক্ষ থেকে মাইক ওয়েবস্টার বলেন, “এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া কঠিন। তবে অনেকগুলো ধারণা প্রচলিত আছে।”

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ভোরের আবহাওয়ার কারণে পাখির গান আরও ভালোভাবে শোনা যায়। ভোরবেলার শীতল এবং আর্দ্র বাতাস শব্দের বিস্তারকে সাহায্য করে। উইলিয়ামস কলেজের অধ্যাপক হিদার উইলিয়ামস বলেন, “সাধারণত, ঠান্ডা ও ঘন বাতাসে শব্দ বেশি দূর পর্যন্ত যায়। আর্দ্রতা বেশি থাকলে শব্দের গুণাগুণও বজায় থাকে।”

আমাদের দেশেও দোয়েল, শালিক, বুলবুলি, টিয়া সহ নানা প্রজাতির পাখি ভোরবেলা গান গায়। তাদের এই গান আমাদের চারপাশের প্রকৃতিকে আরও সুন্দর করে তোলে।

পাখির এই গান শুধু আনন্দদায়কই নয়, এটি বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও সরবরাহ করে। পাখির গান শুনে তারা একটি এলাকার পাখির প্রজাতি, তাদের সংখ্যা এবং পরিবেশের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা পান।

আপনিও কি পাখির গান শুনতে ভালোবাসেন? তাহলে, খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে আপনার বাড়ির আশেপাশে বা কাছাকাছি কোনো খোলা জায়গায় যান। চুপ করে দাঁড়িয়ে শুনুন পাখির গান।

প্রকৃতির এই সুর সত্যিই অসাধারণ!

তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT