ওহাইও-র এক লুকানো রত্ন: যেখানে সবুজ আর প্রকৃতির মেলবন্ধন
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত কুইয়াহোগা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক (Cuyahoga Valley National Park) যেন এক লুকানো রত্ন। সাধারণত, কোনো ন্যাশনাল পার্কের কথা ভাবলে আমাদের চোখে ভাসে বিশাল পাহাড়, গভীর অরণ্য অথবা দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র।
কিন্তু কুইয়াহোগা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক একটু অন্যরকম। এখানে প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়াও রয়েছে। ঝর্ণা, ঘন বনভূমি, দীর্ঘ বাইকিং ট্রেইল, এমনকি একটি ওয়াইনারি – সব মিলিয়ে এই পার্কটি ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এক অসাধারণ গন্তব্য।
শিল্প-কারখানা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত একটি অঞ্চলের পুনরুদ্ধার
কুইয়াহোগা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক-এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল এর পরিবেশ সংরক্ষণের প্রচেষ্টা। একসময় শিল্প-কারখানার দূষণে কুইয়াহোগা নদী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
কিন্তু স্থানীয় মানুষ ও কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই নদীর হারানো রূপ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সেখানে বিভিন্ন ধরনের পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর আনাগোনা দেখা যায়। এই পার্কটি যেন প্রকৃতির প্রতিশোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
যা যা উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে
কখন যাবেন?
কুইয়াহোগা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে ভ্রমণের সেরা সময় হলো শরৎকাল। এসময় এখানকার গাছের পাতাগুলো নানা রঙে সজ্জিত হয়, যা পার্কটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া বেশ উষ্ণ থাকে, তবে তখনও ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। শীতকালে বরফের চাদরে ঢেকে যায় চারপাশ, যা স্কিইং এবং স্নোশুয়িং-এর জন্য উপযুক্ত।
যেভাবে যাবেন
কুইয়াহোগা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক-এ যাওয়া বেশ সহজ। এটি ক্লিভল্যান্ড শহর থেকে প্রায় ৩০ মিনিটের পথ এবং আকন শহর থেকে সামান্য উত্তরে অবস্থিত।
আকাশপথে গেলে ক্লিভল্যান্ড হপকিন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অথবা আকন-ক্যান্টন আঞ্চলিক বিমানবন্দরে নামতে পারেন। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে সহজেই পার্কে পৌঁছানো যায়।
থাকার ব্যবস্থা
খাবার
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
কুইয়াহোগা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক-এর পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি আমাদের দেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরবনের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং অন্যান্য বনভূমি রক্ষার ক্ষেত্রেও আমরা এই পার্ক থেকে শিক্ষা নিতে পারি।
আসুন, প্রকৃতির প্রতি আরও যত্নশীল হই এবং আমাদের চারপাশের পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য কাজ করি।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার