একটি বিবাহ-পূর্ববর্তী অনুষ্ঠানে স্বামীর যোগদান নিয়ে এক নারীর উদ্বেগের ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফোরামে এক নারী তার স্বামীর এক পুরনো বান্ধবীর বিবাহ অনুষ্ঠানে একাকী যোগদান করা নিয়ে নিজের অস্বস্তির কথা প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, ওই নারীর স্বামী এবং তার বান্ধবী একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তাদের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত প্রেমের সম্পর্কও ছিল, যা তাদের বিবাহের আগে ঘটেছিল। বর্তমানে, বান্ধবীর বিয়ে বিদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে স্বামীর একাই যাওয়ার কথা রয়েছে।
পেশাগত ব্যস্ততা এবং আর্থিক কারণে স্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছেন না। উদ্বিগ্ন স্ত্রী তার পোস্টে লিখেছেন, তিনি স্বামীকে বিশ্বাস করেন, কিন্তু অতীতে তাদের সম্পর্কের কথা মনে করে এবং বিয়ের স্থান অনেক দূরে হওয়ায় তিনি কিছুটা দুশ্চিন্তা বোধ করছেন।
স্বামীর একাকী এই ভ্রমণে তার ভালো লাগছে না। তিনি জানতে চান, তার এই অনুভূতি কতটা যুক্তিযুক্ত। পোস্টটি অনলাইনে আসার পরেই অসংখ্য মন্তব্য আসতে শুরু করে।
অধিকাংশ ব্যবহারকারী স্ত্রীর এই উদ্বেগকে সমর্থন করেননি। তাদের মতে, যেহেতু বান্ধবী অন্য কাউকে বিয়ে করছেন, তাই স্বামীর সেখানে যাওয়া নিয়ে এত দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেউ কেউ সরাসরি বলেছেন, স্ত্রী সম্ভবত অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন এবং স্বামীর প্রতি তার নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা রয়েছে।
একজন মন্তব্যকারী জানতে চেয়েছিলেন, স্বামীর বান্ধবীর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন। জবাবে স্ত্রী জানান, বান্ধবীর সঙ্গে তার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই, তবে তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখা যায়। অতীতে তাদের মধ্যেকার সম্পর্কের কারণে স্বামীর প্রতি বান্ধবীর একটা আলাদা আকর্ষণ অনুভব করেন, যা তিনি সব সময় সহজভাবে নিতে পারেন না।
এই ঘটনাটি বর্তমানে অনেক দম্পতিদের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং ব্যক্তিগত স্থান নিয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করছে। আধুনিক যুগে সম্পর্কের জটিলতা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উন্মুক্ত আলোচনা অনেক সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি করে, যেখানে আবেগ এবং যুক্তির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র: পিপলস