লন্ডনের ঐতিহাসিক টেমস নদীর তীরে অবস্থিত বিলাসবহুল হোটেল, ‘সি কন্টেইনার্স লন্ডন’-এ সম্প্রতি উন্মোচন করা হয়েছে নতুন চারটি স্যুট। এই স্যুটগুলো তৈরি করা হয়েছে সমুদ্রগামী জাহাজের সোনালী দিনগুলোর স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে।
প্রত্যেকটি স্যুট তৈরি হয়েছে আলাদা আলাদা ঐতিহাসিক সময়কালের অনুপ্রেরণা নিয়ে, যা দর্শকদের নিয়ে যাবে এক ভিন্ন জগতে।
এই নতুন স্যুটগুলোর ডিজাইন করেছেন লোর গ্রুপের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং ডিজাইনার জ্যাকি স্ট্রাস। ১৯২০ দশকের আটলান্টিক পাড়ি দেওয়া সমুদ্রযাত্রার রোমান্স থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এই স্যুটগুলো ডিজাইন করেছেন।
স্যুটগুলোর মধ্যে রয়েছে: এডওয়ার্ডিয়ান স্যুট, আর্ট ডেকো স্যুট, মিড-সেঞ্চুরি স্যুট এবং ডাইনেস্টি স্যুট। প্রতিটি স্যুটের নকশা, আসবাবপত্র এবং সজ্জায় সেই সময়ের বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
প্রতিটি স্যুটের জন্য ভিনটেজ আসবাবপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে বিখ্যাত ভিনটেরিয়র নামক একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। উদাহরণস্বরূপ, এডওয়ার্ডিয়ান স্যুটে রয়েছে কাঠের আরামদায়ক চেয়ার এবং একটি মেহগনি কাঠের ডেস্ক।
আর্ট ডেকো স্যুটে দেখা যায় ১৯৩০ দশকের সোফা ও আর্মচেয়ার এবং সুইডিশ ওয়ালনাট-এর তৈরি বেডসাইড টেবিল। মিড-সেঞ্চুরি স্যুটে রয়েছে ড্যানিশ পাউডার ব্লু সোফা এবং লুডভিগ মিয়েস ভ্যান ডের রোহের ডিজাইন করা চামড়ার চেয়ার।
১৯৮০ দশকের আড়ম্বরপূর্ণ ডাইনেস্টি স্যুটে কাঁচের কফি টেবিল এবং ইতালীয় স্থপতি ভিকো ম্যাজিস্ট্রেত্তির ডিজাইন করা মারালুঙ্গা সোফা ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রতিটি স্যুটের সৌন্দর্য আরও বাড়াতে, বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা ফেইডনের নির্বাচিত কিছু বই এবং হোটেলের পুরস্কার বিজয়ী বার, লিয়ানেস-এর যুগোপযোগী ককটেল পরিবেশন করা হবে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই স্যুটগুলো তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হলো অতিথিদের একটি আরামদায়ক অভিজ্ঞতা দেওয়া, যেখানে তারা পুরনো দিনের সমুদ্রযাত্রার আভিজাত্য অনুভব করতে পারবেন।
সি কন্টেইনার্স লন্ডনের নতুন স্যুটগুলোতে থাকার খরচ শুরু হবে ১,১০০ পাউন্ড থেকে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (আনুমানিক) ১,৫০,০০০ টাকার বেশি।
(নোট: টাকার হিসাবটি আজকের বিনিময় হার অনুযায়ী, যা পরিবর্তনযোগ্য)।
আগ্রহী ভ্রমণকারীরা seacontainerslondon.com ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার