1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
July 15, 2025 3:03 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
বৃদ্ধ বয়সেও দৌঁড়ে বিশ্বজয়, হিট এন্ড রানে প্রাণ গেল ফৌজা সিংয়ের! বিষ প্রয়োগের অভিযোগে ডেন্টিস্টের বিচার: আদালতে চাঞ্চল্য! আতঙ্কের রাতে ইউক্রেনের ত্রাতা হতে পারে পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র? বাবার হাত ধরে, ভাইয়ের উৎসাহে! হোম রান ডার্বিতে ক্যালিফোর্নিয়ার বিজয় গাজায় ত্রাণ পাঠাতে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি! ইউরোপের তোলপাড়! সামরিক খসড়া আইন নিয়ে ফাটল! নেতানিয়াহুর জোট টলমল? ভারতের জঙ্গলে মেয়ের সঙ্গে রাশিয়ার মায়ের জীবন, চাঞ্চল্যকর ঘটনা! এমি অ্যাওয়ার্ডস: মনোনয়ন ঘোষণা! কোন সিরিজ এগিয়ে? ট্রাম্পের ‘সময়সীমা’, ইউক্রেনে রাশিয়ার ধ্বংসযজ্ঞের সবুজ সংকেত? আতঙ্ক! এলমোর অ্যাকাউন্টে ইহুদি বিদ্বেষী পোস্ট, তোলপাড়!

ওকলাহোমা সিটি: ধ্বংসস্তূপে পরিণত, ভয়াবহ বোমা হামলায় কেঁদেছিল দেশ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Wednesday, April 16, 2025,

ওকলাহোমা সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: ১৯৯৫ সালের ১৯শে এপ্রিল, এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল আমেরিকার ওকলাহোমা শহরের আকাশ। একটি ফেডারেল সরকারি ভবনে চালানো হয় এই নৃশংস হামলা, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী হামলায় পরিণত হয়।

একটি ভাড়া করা ট্রাকে করে বিস্ফোরক বোঝাই করে আনা হয়েছিল, যা আলফ্রেড পি. মুররাহ ফেডারেল বিল্ডিংয়ের সামনে রাখা হয়। সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১৬৮ জন, যাদের মধ্যে ১৯ জন ছিল শিশু।

আহত হয়েছিলেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। ঘটনাটি ছিল সকাল ৯টা ২ মিনিটের সময়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, তা শহরের অনেক দূর থেকেও অনুভূত হয়েছিল।

ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সেখানকার স্থানীয় সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ভবনটির চারপাশে দ্রুত ছুটে আসে উদ্ধারকারী দল ও জরুরি বিভাগের কর্মীরা।

সেই সময়কার ভয়াবহ দৃশ্যগুলো এখনো অনেকের স্মৃতিতে অমলিন। বিস্ফোরণের পর দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর সাংবাদিকরা।

তাদের মধ্যে প্রথমজন ছিলেন জুডি গিবস রবিনসন। তিনি জানান, চারিদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ আর আহত মানুষের আর্তনাদ।

ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া মানুষের কান্না হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা করে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, আর স্বজনহারাদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ।

এপি-র সাংবাদিকরা দ্রুত খবর সংগ্রহ করে তা বিশ্বজুড়ে তাদের গ্রাহকদের কাছে পাঠাতে শুরু করেন। ঘটনার ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে অনেকেই যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন।

সেই সময়কার ব্যুরো প্রধান লিন্ডেল হাটসন বলেছিলেন, “মনে হচ্ছিল যেন আমার অনেকগুলো হাত দরকার, কিন্তু পর্যাপ্ত ছিল না।” এই ঘটনার একটি মর্মস্পর্শী ছবি তোলেন চার্লস পোর্টার নামের এক ব্যক্তি।

ছবিতে দেখা যায়, এক দমকলকর্মী এক শিশুর নিথর দেহ কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ছবিটি ১৯৯৬ সালে পুলিৎজার পুরস্কার জেতে, যা এই ভয়াবহ ট্র্যাজেডির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে।

এই বোমা হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এই ঘটনাকে ‘জঘন্য কাপুরুষোচিত কাজ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। সরকার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

ওকলাহোমা সিটির এই মর্মান্তিক ঘটনা আজও সারা বিশ্বের মানুষের কাছে গভীর শোকের বিষয়।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT