অস্ট্রেলিয়ার আসন্ন নির্বাচনের আগে বিরোধী দল ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে বিতর্কে উঠে এলো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া বিতর্কে ইন্দোনেশিয়া নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা পিটার ডটন।
অন্যদিকে, বিদ্যুতের দাম কমানো নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজকে।
বিতর্কে ডটন জানান, তিনি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের একটি বক্তব্য ভুলভাবে তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রস্তাব করেছেন, রাশিয়া যেন ইন্দোনেশিয়ায় তাদের সামরিক বিমান ঘাঁটি তৈরি করে।
পরে অবশ্য ডটন স্বীকার করেন, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের এমন কোনো প্রস্তাব দেওয়ার কথা তিনি শোনেননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি ভুল তথ্য দিয়েছিলেন।
আলোচনায় আসে ফেডারেল সরকারি চাকরিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টিও। ২০৩০ সাল পর্যন্ত সরকারি ৪১,০০০ পদ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে ডটনের।
তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে কতটুকু সুবিধা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
বিদ্যুৎ-এর দাম কমানো নিয়ে আলবানিজের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এর আগে, গত নির্বাচনে লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে বিদ্যুতের দাম ২৭৫ ডলার কমানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
ডটন এই বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে লেবার পার্টির পক্ষ থেকে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে না। বরং, লেবারকে ভোট দিলে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়বে।
আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়েও কথা হয়। ডটনকে যখন প্রশ্ন করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে কিনা, তখন তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তিনি জানান, বিজ্ঞানীদের এই বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত। তবে তিনি উল্লেখ করেন, চীন প্রতি সপ্তাহে দুটি করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানাচ্ছে।
অন্যদিকে, আলবানিজ ডটনের এই মন্তব্যকে বিজ্ঞানবিরোধী হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি তারা স্বীকার করেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
আলোচনায় আবাসন সংকট নিরসনের উপায় নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় নেতাই জানান, তারা এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যার মাধ্যমে আবাসনের সরবরাহ বাড়বে এবং এর ফলে বাড়ির দাম স্থিতিশীল থাকবে।
আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী বিতর্ক। এছাড়া, আগামী ২৭শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল বিতর্ক। এরপরই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian