বৃদ্ধ মহিলার কংক্রিটের ভেতর পাওয়া যাওয়া দেহ, শিশু নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি সন্দেহের তালিকায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের অলিম্পিয়া শহরে ৮২ বছর বয়সী মারিয়া নরম্যান নামের এক বৃদ্ধার কংক্রিটের ভেতর পাওয়া গেছে। তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজে না পাওয়ার পর পুলিশে খবর দেয়, ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে।
থাস্টন কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মারিয়া নরম্যানের দেহটি পাওয়া গেছে তাঁর প্রতিবেশী এবং মিস্ত্রি জেফরি জিজের তৈরি করা একটি শেডের ভেতর। ৪৭ বছর বয়সী জিজকে বর্তমানে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।
শিশু নির্যাতনের দায়ে তাঁর সাজা হয়েছিল এবং সেই শর্ত ভঙ্গের কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, মারিয়া নরম্যানকে সবশেষ দেখা গিয়েছিল ১ এপ্রিল। সেদিন তিনি টেনিনোর কাছে মিলিটারি রোড এলাকার একটি বাড়িতে জিজের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছিলেন।
এর কয়েক দিন পর, ৪ এপ্রিল পরিবারের লোকজন মারিয়াকে খুঁজে না পেয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। জিজ ঘটনার পর রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যান, তবে পরে মন্টানা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
পরে তাঁকে ওয়াশিংটনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
শেরিফের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, জিজ বর্তমানে থাস্টন কাউন্টি কারাগারে আটক আছেন এবং তাঁর জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
গোয়েন্দারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করছেন। তদন্তকারীরা থাস্টন কাউন্টি কৌঁসুলি এবং ময়নাতদন্ত অফিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রেখে কাজ করছেন।
জানা গেছে, জিজ একসময় নর্থ থার্সটনের ক্যালভারি চ্যাপেল নামক একটি গির্জায় যাজক হিসেবে কাজ করতেন। ২০২১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণ, শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
২০২২ সালে জিজ দুটি ভিন্ন ঘটনায় ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকার করেন। এছাড়াও, তিনি নাবালকদের সঙ্গে অনৈতিক উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করারও অভিযোগ স্বীকার করেন।
এসব অপরাধের জন্য তাঁকে ১০৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
তবে ১১ মাস পর একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে অংশগ্রহণের শর্তে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির শর্ত ছিল, তিনি ওয়াশিংটন রাজ্য ত্যাগ করতে পারবেন না।
কিন্তু তিনি সেই শর্ত ভঙ্গ করেন।
এই ঘটনায় মারিয়া নরম্যানের মৃত্যু এবং তাঁর নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে জিজের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
তবে, যদি মুক্তি শর্ত ভঙ্গের বিষয়টি প্রমাণিত হয়, তাহলে জিজকে আরও ৯৩ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপলস