যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। নভেম্বরের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত এই সময়ে রোগটি ছড়িয়ে পরে এবং এর ফলে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
তবে, খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করেনি।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, রোগটি মূলত রোমেইন লেটুস থেকে ছড়িয়েছে এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল সেন্ট লুইস কাউন্টি, মিসৌরি। এফডিএ’র অভ্যন্তরীণ একটি রিপোর্টে জানা যায়, সংক্রমণের উৎস নিশ্চিত হওয়ার আগেই দূষিত লেটুস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
তাই তারা কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির নাম প্রকাশ করেনি। এফডিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণত কোনো খাদ্যবাহিত রোগের বিষয়ে তথ্য জানানোর আগে তারা কিছু বিষয় বিবেচনা করে থাকে।
রোগের কারণ এখনো অজানা থাকলে অথবা আক্রান্ত কোম্পানি যদি পরিস্থিতির সমাধানে কাজ করে সেক্ষেত্রে তারা তথ্য গোপন রাখতে পারে।
এই ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া, বিশেষ করে ‘ই. কোলাই ০১৫৭:এইচ৭’ নামক একটি বিশেষ স্ট্রেইন, মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটি অন্ত্র, মূত্রনালী এবং শরীরের অন্যান্য অংশে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এর প্রভাবে ডায়রিয়া, বমি এবং জ্বর হতে পারে। সেন্ট লুইস কাউন্টির একজন এপিডেমিওলজিস্ট ড. আমান্ডা ব্রজোওস্কি-র মতে, আক্রান্ত অনেক শিক্ষার্থী মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পরেছিল।
এই ঘটনার জেরে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কোম্পানি ‘টেলর ফার্মস’-এর বিরুদ্ধে নয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কোম্পানিটি তাদেন পণ্যের মাধ্যমে সংক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রোগটি নিয়ন্ত্রণে আসার পর জানুয়ারিতে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানায়, প্রাদুর্ভাব শেষ হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।
খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
বিশেষ করে, বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা ফল ও সবজির ক্ষেত্রে এই বিষয়ে আরও বেশি নজর রাখা দরকার। এছাড়া, খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং সাধারণ ভোক্তাদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল