বরিশালের একটি তরুণীর বিয়ে আসন্ন, কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি তার ভাইকে আমন্ত্রণ জানাবেন কিনা, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন। পরিবারের সদস্যরা চাইছেন, দুই বছর ধরে ভাই-বোনের মধ্যে যে মনোমালিন্য চলছে, বিয়ের মাধ্যমে তার অবসান হোক।
কিন্তু ওই তরুণী চান না তার ভাই অনুষ্ঠানে আসুক।
আগামী আগস্ট মাসে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া ২৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর সঙ্গে তার ২৮ বছর বয়সী ভাইয়ের সম্পর্ক ভালো ছিল একসময়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে এবং গত দুই বছর ধরে তারা একে অপরের সঙ্গে কোনো কথা বলেন না।
জানা গেছে, তরুণী ও তার ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি শুরু হয় যখন তারা একসঙ্গে থাকতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
তরুণীর অভিযোগ, ভাই তার বন্ধুদের তার ঘরে থাকতে দিতেন, যদিও তিনি সেখানে থাকতেন না। এমনকি, ভাই যখন হতাশায় ভুগছিলেন, তখন তিনি যথেষ্ট সহানুভূতি দেখাচ্ছেন না—এমন অভিযোগও ছিল তার।
অন্যদিকে, ভাইটির অভিযোগ ছিল, বোন তাকে যথেষ্ট সমর্থন করেন না। একবার তিনি বোনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে তাদের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়।
তরুণী জানান, ওই সময় তিনি ভাইয়ের সব খরচ বহন করেছিলেন, কিন্তু সেটির জন্য কোনো ধন্যবাদও পাননি। এরপর তাদের মধ্যে মনোমালিন্য আরও বাড়ে এবং একপর্যায়ে তারা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বর্তমানে, ওই তরুণীর পরিবার চাইছে, তিনি যেন তার ভাইকে বিয়েতে আমন্ত্রণ জানান। তাদের ধারণা, বিয়ের মাধ্যমে ভাই-বোনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হতে পারে।
কিন্তু তরুণী এবং তার হবু স্বামী, কেউই চান না তার ভাই অনুষ্ঠানে আসুক। এই পরিস্থিতিতে তিনি বেশ চাপে পড়েছেন।
এ বিষয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সেখানে অনেকেই তাকে তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাতে বলেছেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাইকে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে, যা সম্পর্কের বরফ গলাতে সাহায্য করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিবারের বন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে আপনজনদের একসঙ্গে পাওয়াটা স্বাভাবিক এবং আকাঙ্খিত।
তবে, ব্যক্তির নিজস্ব অনুভূতির প্রতিও সম্মান জানানো প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে, তরুণীকে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা তার নিজের এবং পরিবারের জন্য ভালো হয়।
তথ্য সূত্র: পিপল