যুক্তরাষ্ট্রে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত, বাকশক্তিহীন এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিকাগো শহরের এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩১ বছর বয়সী ক্যাথরিন পেরি নামের ওই নারীকে প্রথম-ডিগ্রি হত্যা এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৪ অক্টোবর, ৬১ বছর বয়সী টনি ল্যান্ডার্স নামের ওই ব্যক্তিকে তার নিজ অ্যাপার্টমেন্টে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হলেও, হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
নিহত ল্যান্ডার্সের বোন কিম ল্যান্ডার্স জানান, তার ভাই ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন এবং ল্যারিংস অপসারণের কারণে কথা বলতে পারতেন না। ঘটনার দিন তিনি ভাইয়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান।
কিম জানান, তিনি যখন ভাইয়ের বাসায় যান, তখন দরজার কাছে রক্তের ছাপ দেখতে পান।
কিমের ভাষ্যমতে, “আমি যখন দরজা খুলি, তখন পায়ের ছাপ দেখি। এরপর আরও একটি পায়ের ছাপ নজরে আসে। তাকিয়ে দেখি আমার ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানে পড়ে আছে। চারপাশে রক্ত ছিল। আমি চিৎকার করে লোকজনকে ডাকি, বলি, ‘কেউ তাকে মেরে ফেলেছে!’”
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএলএস-টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিহত ব্যক্তির আরেক বোন মেলিসা উইনস্টন বলেন, “একজন নিরপরাধ, অসহায় মানুষকে হত্যা করা হলো। আমার ভাই নিজেকে রক্ষা করতে পারতেন না। তিনি দুর্বল ছিলেন, অসুস্থ ছিলেন।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ক্যাথরিন পেরিকে গত ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে গ্রেফতার করা হয়। তবে, এই হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। পুলিশের ধারণা, নিহত ব্যক্তি এবং অভিযুক্ত পরস্পরকে চিনতেন।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিহতের পরিবার জানায়, তারা ন্যায়বিচার চায় এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। অভিযুক্তের পরবর্তী শুনানির জন্য প্রস্তুতি চলছে।
তথ্য সূত্র: পিপল