1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
July 18, 2025 9:04 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি কালুকে ৫ টি টিকিটসহ গ্রেফতার করেন, রেলওয়ে থানা পুলিশ এনসিপি নেতৃবৃন্দের উপর হামলার প্রতিবাদে মাদারীপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ কাপ্তাই প্রজেক্ট  শহীদ আলমগীর এর ৩৮তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন  কাপ্তাইয়ে ২৪এর রঙে  গ্রাফিতি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা  পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই যোদ্ধারা শোনালেন জুলাইয়ের দুঃসহ স্মৃতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাজেট কাটছাঁট: সিনেটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত! লামিন ইয়ামালের জন্মদিনের পার্টি: বিতর্ক! বামনদের নিয়ে মন্তব্যে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া ইরাকের কুতে বহুতল ভবনে আগুন, নিহত বহু! যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক অধিকারের সঙ্কট: জরুরি অবস্থা ঘোষণা! গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মাদারীপুরে এনসিপির সমাবেশ স্থগিত

ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তোলপাড়: নারী সংজ্ঞা নিয়ে কী হলো?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Saturday, April 19, 2025,

যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত সম্প্রতি এক ঐতিহাসিক রায়ে ঘোষণা করেছে, দেশটির ‘২০১০ সালের সমতা আইন’-এর অধীনে ‘নারী’ শব্দটির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হবে ‘জৈবিক লিঙ্গ’ (biological sex)-এর ভিত্তিতে।

এর ফলে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের (transgender women) এখন থেকে ওই আইনের আওতায় নারী হিসেবে গণ্য করা হবে না। এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি দেশটির বিভিন্ন স্থান, যেমন— শৌচাগার, হাসপাতাল ওয়ার্ড, এবং খেলাধুলার ক্লাবগুলোতে ট্রান্স নারীদের অধিকারের উপর প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আদালতের এই রায় মূলত ‘২০১০ সালের সমতা আইন’-এর অধীনে ‘নারী’ শব্দটির সংজ্ঞা নির্ধারণের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে এর প্রভাব আইনের গণ্ডি পেরিয়ে আরও বৃহত্তর পরিসরে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটেনের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ‘ইক্যুয়ালিটি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস কমিশন’ (EHRC) জানিয়েছে, তারা খুব শীঘ্রই একক-লিঙ্গের স্থানগুলোর (single-sex spaces) জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করবে।

এই রায়টি ট্রান্সজেন্ডার অধিকারের পক্ষে-বিপক্ষে থাকা বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়েছে। বিচারকরা জানিয়েছেন, এই রায়কে কোনো পক্ষের জয় হিসেবে দেখা উচিত নয়।

তবে ট্রান্স-অধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘আপত্তিকর’ এবং ‘বৈষম্যমূলক’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা মনে করে, এই রায় ট্রান্স ও নন-বাইনারি (non-binary) সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ।

এই রায়ের ফলে সমতা আইন এবং একক-লিঙ্গের স্থানগুলোতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ইএইচআরসি’র প্রধান কিশওয়ার ফকনার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মাধ্যমে ‘একটি পরিষ্কার ধারণা’ পাওয়া গেছে যে, ‘পরিবর্তন কক্ষের মতো একক-লিঙ্গের পরিষেবাগুলো জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে হওয়া উচিত।’

তিনি আরও জানান, ট্রান্স ব্যক্তিরা এখন তৃতীয় স্থানগুলির (unisex toilets or changing rooms) জন্য আবেদন করতে পারেন। কারণ, আইন তাদের একক-লিঙ্গের সুবিধাগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেয় না।

এই রায়ের কারণে পুলিশের কার্যক্রম এবং কারাগারের নিয়মকানুনগুলোতেও পরিবর্তন আসতে পারে। ব্রিটিশ পরিবহন পুলিশ জানিয়েছে, তারা তাদের হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের লিঙ্গ-নিরূপণে তাদের জন্মগত লিঙ্গকে (biological birth sex) বিবেচনা করবে।

এই মুহূর্তে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা এই রায়টি পর্যালোচনা করছে এবং তারা এখনও কোনো পরিবর্তন আনেনি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইএইচআরসি’র কাছে স্কুল, অফিস এবং নারী বিষয়ক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এই রায় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন আসছে।

ইএইচআরসি’র একজন মুখপাত্র সিএনএনকে জানিয়েছেন, তাদের নতুন নির্দেশনায় পরিষেবা প্রদানকারী এবং সরকারি কর্তৃপক্ষসহ স্কুল ও ক্রীড়া ক্লাবগুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তবে, ট্রান্সgender ব্যক্তিরা এখনও লিঙ্গ পরিবর্তনের কারণে কোনো প্রকার বৈষম্যের শিকার হলে, তাদের সুরক্ষা দেবে এই আইন।

এই রায় নারীদের খেলাধুলায়ও প্রভাব ফেলবে। তবে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়, কারণ নতুন নির্দেশনা তৈরির কাজ চলছে এবং অনেক ক্রীড়া সংস্থা ও স্থানীয় সংগঠন এরই মধ্যে তাদের নিজস্ব নীতিমালা তৈরি করেছে।

বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের (World Athletics) প্রধান সেবাস্তিয়ান কোয়ে (Sebastian Coe) বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ট্রান্স নারীদের নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যাবে না।

এই রায় ট্রান্সgender সম্প্রদায়ের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়েছে।

ট্রান্স-অধিকার কর্মী জেন ফে সিএনএনকে বলেছেন, ‘এতে কোনো ভালো দিক নেই। আমাদের কার্যত যুক্তরাজ্যের সমাজ থেকে অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, এই রায় যেন ‘২০০৪ সালের লিঙ্গ স্বীকৃতি আইন’কে বাতিল করে দিয়েছে।

এই রায়ের ফলে ‘সংস্কৃতি যুদ্ধ’ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কারণ, আদালত যদিও লিঙ্গ বা যৌনতার সংজ্ঞা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি, তবুও এই রায় ট্রান্স-অধিকার কর্মী এবং প্রগতিশীল গোষ্ঠীগুলোর মূল যুক্তিতে আঘাত হেনেছে। তাদের মূল যুক্তি ছিল, ট্রান্স নারীও নারী।

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেও এই রায়ের প্রভাব পড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার (Keir Starmer) এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, একক-লিঙ্গের স্থানগুলো সবসময় সরকারের সুরক্ষা পাবে।

বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি (Conservative Party) এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT