যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি সে দেশের ডিমের দাম নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প ডিমের দাম এবং অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেন।
শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল, ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ডিমের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তিনি কৃষি বিভাগের সেক্রেটারি ব্রুক রলিন্সের কাজের প্রশংসা করে বলেন, ডিমের দাম ৮৭ শতাংশ কমেছে।
ট্রাম্পের মতে, এখন ডিমের সরবরাহ এত বেশি যে দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, সরকারি তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ১৯শে এপ্রিল ডিমের পাইকারি গড় দাম ছিল ৩.১৩ মার্কিন ডলার (ডলার)। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি ডজনের দাম ছিল ৫.৯০ ডলার, যা জানুয়ারিতে ছিল ৪.৯৫ ডলার।
এই দামগুলো যদিও আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে, কিন্তু এখনো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে, ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় খাদ্যপণ্যের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নির্বাচিত হলে তিনি দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
কিন্তু অনেকেই মনে করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত, যার কারণ হতে পারে কোভিড-১৯ মহামারী এবং ইউক্রেন যুদ্ধ।
ডিমের দাম নিয়ে ট্রাম্পের এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, যেহেতু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কারণে অনেক দেশের বাজারেই খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বাংলাদেশেও নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিসের দাম বাড়ছে, তাই এই খবরটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, ১ মার্কিন ডলার = ১১০.৮৫ বাংলাদেশী টাকা (পরিবর্তনশীল)।
তথ্য সূত্র: পিপল