সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ‘দুবাই চকোলেট’-এর ক্রেজ, যার জেরে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে পেস্তার সঙ্কট। সম্প্রতি, TikTok-এর মতো প্ল্যাটফর্মে “দুবাই চকোলেট”-এর একটি বিশেষ প্রকারের ভিডিও খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
এর ফলস্বরূপ, বাদাম প্রস্তুতকারক দেশগুলোতে, বিশেষ করে আমেরিকা ও ইরানে, পেস্তার চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে।
জানা গেছে, “ক্যান্ট গেট কানাফেহ অফ ইট” (Can’t Get Knafeh of It) নামের একটি চকোলেট বার, যা দুবাইয়ের “ফিক্স চকোলেট” তৈরি করে, এটির জনপ্রিয়তার মূল কারণ। এই চকোলেটের প্রধান উপাদান হলো পেস্তার ক্রিম।
TikTok-এ এই চকোলেটের প্রশংসাসূচক ভিডিওগুলি ব্যাপক ভাবে শেয়ার হওয়ার পরেই এর চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে, বাজারে পেস্তার সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষ দিকে এই ভিডিওগুলি প্রথম দেখা যায় এবং কয়েক মাসের মধ্যেই সেগুলির ভিউ সংখ্যা ১২০ মিলিয়নেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পরে আরো অনেক ভিডিও তৈরি হয়েছে।
এর ফলে পেস্তার দামও বেড়েছে। এক বছরে পেস্তার দাম প্রতি পাউন্ডে ৭.৬৫ ডলার থেকে বেড়ে ১০.৩০ ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ১০০০ টাকার বেশি।
এই পরিস্থিতিতে, সরবরাহ কমে যাওয়ায় অনেক দোকানে চকোলেট বার সীমিত পরিমাণে বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু ফিক্স চকোলেট নয়, অন্যান্য জনপ্রিয় চকোলেট প্রস্তুতকারক যেমন Läderach এবং Lindt-ও এখন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
জানা গেছে, ইরান গত ছয় মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (UAE) আগের ১২ মাসের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি পেস্তা রপ্তানি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের খারাপ ফলনের কারণেও পেস্তার সঙ্কট বেড়েছে। কারণ ফলন কম হওয়ার কারণে ভালো মানের পেস্তাগুলো অক্ষত অবস্থায় বিক্রি করা হয়েছিল, যা এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, এখন প্রশ্ন উঠছে, সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্রভাব কি সত্যিই খাদ্য বাজারের উপর এতটা প্রভাব ফেলতে পারে?
তথ্য সূত্র: The Guardian