সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, মানুষ তাদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করে থাকে। সম্প্রতি, তেমনই একটি ঘটনার সাক্ষী থেকেছে অনলাইন বিশ্ব, যেখানে এক নারী বছরে মাত্র চারটি ছুটি কাটানো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনলাইন ফোরামে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক কমিউনিটি সাইট Mumsnet.com-এর ‘Am I Being Unreasonable?’ নামক ফোরামে ওই নারী তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি জানান, স্বামী পর্যাপ্ত ছুটি না পাওয়ায় তাদের বছরে চারটি ভ্রমণের বেশি করা সম্ভব হচ্ছে না।
সাধারণত তারা দুটি দীর্ঘমেয়াদী বিদেশ ভ্রমণ এবং তিনটি অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে যান। কিন্তু এবার, তারা একটি বিদেশ ভ্রমণ প্রায় দুই সপ্তাহের জন্য করেছেন, যার ফলে তাদের পরবর্তী আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
ওই নারীর মতে, সমস্যাটি আর্থিক নয়, কারণ তাদের আগস্ট মাসে আবারও ভ্রমণের সামর্থ্য রয়েছে। মূল সমস্যা হলো, তার স্বামীর ছুটির সীমাবদ্ধতা।
তিনি জানান, তার স্বামী তার বাবা-মায়ের ব্যবসায় কাজ করেন এবং তিনি যখন স্বামীর মায়ের কাছে আগস্টে একটি ভ্রমণের প্রস্তাব করেন, তখন তিনি জানতে পারেন যে স্বামীর আর কোনো ছুটির দিন অবশিষ্ট নেই।
এমনকি, এই বছর তাদের ইতিমধ্যে নির্ধারিত ছুটিগুলোও তার প্রাপ্য ছুটির চেয়ে বেশি।
বিষয়টি নিয়ে ওই নারী তার শ্বশুরমশাইকে জানান যে তার স্বামী ছুটিগুলো “বেতন ছাড়া” নিতে পারেন। উত্তরে শাশুড়ি জানান, “সমস্যাটা ছুটির নয়, আমাদের ব্যবসা চালানোরও একটা ব্যাপার আছে, কাজ তো করতেই হবে।”
এই ঘটনার পরেই ওই নারী ফোরামের সদস্যদের কাছে জানতে চান, এক বছর পর আবার বিদেশ ভ্রমণের জন্য অপেক্ষা করাটা তার জন্য কঠিন হচ্ছে কিনা, নাকি তার “বাস্তবতা উপলব্ধি” করার প্রয়োজন।
ফোরামের অধিকাংশ সদস্যই ওই নারীর এই মনোভাবকে সমর্থন করেননি। তারা মনে করেন, ওই নারীর এমন চিন্তা করাটা “অযৌক্তিক”।
অনেকে তাকে “অবাস্তব” এবং “অহংকারী” বলেও মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ তাকে কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করার পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ অনেকের পক্ষেই নিয়মিত ছুটি কাটানো সম্ভব হয় না।
এই ঘটনাটি আমাদের সমাজে কর্মজীবনের চাপ এবং বিনোদনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করে। একইসাথে, ছুটির ধারণা এবং কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরে।
তথ্য সূত্র: People