মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাত নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, গবেষণা তহবিলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতের শিকার হওয়া রোগীদের আনাগোনা বাড়ছে। সম্প্রতি, একটি নতুন গবেষণা বলছে, প্রতি ৩০ মিনিটে একজন করে রোগী এই ধরনের আঘাত নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে, আঘাতের কারণ অনুসন্ধানে সহায়তা করা গবেষণাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC)-এর গবেষকদের করা একটি নতুন বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শুধু জরুরি বিভাগেই নয়, আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতের ঘটনাগুলো রাতের বেলা, ছুটির দিন এবং বিশেষ করে স্বাধীনতা দিবস ও নববর্ষের মতো উৎসবে বেশি হয়।
এই গবেষণার ফলগুলি মূলত অপ্রত্যাশিত নয়, তবে গবেষকদের মতে, শহরাঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকার সময়োপযোগী তথ্য ব্যবহার করে করা এই ধরনের বিশ্লেষণ, জরুরি বিভাগের কর্মী নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করতে পারে। এর ফলে রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
ডাঃ ক্রিস্টিনা জনস, যিনি শিশুদের জরুরি বিভাগে কাজ করেন, তিনি বলেন, একটি ভালো প্রস্তুতি সম্পন্ন ট্রমা সেন্টারের কারণে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।
তবে, এই গবেষণাগুলোর ভবিষ্যৎ বর্তমানে হুমকির মুখে। স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগ (US Department of Health and Human Services) থেকে বাজেট কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এই গবেষণাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেডারেল সরকারের নেওয়া সময়োপযোগী বন্দুক-সংক্রান্ত গবেষণাগুলো পুনরায় তৈরি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হলো, আগ্নেয়াস্ত্র বিষয়ক গবেষণা দীর্ঘদিন ধরে নানা বিধিনিষেধের শিকার হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে, ডিকি সংশোধনীর মাধ্যমে ফেডারেল তহবিল ব্যবহার করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে গবেষণা করা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যদিও ২০২০ অর্থবছরের বাজেটে বন্দুক সহিংসতা বিষয়ক গবেষণার জন্য CDC এবং মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে (US National Institutes of Health) পুনরায় অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তবে সেই গবেষণা এখনো নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন।
বর্তমানে, ফেডারেল স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের পরিকল্পনা হ্রাস করার একটি প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে, যা জাতীয় আঘাত প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের (National Center for Injury Prevention and Control) কিছু প্রোগ্রামকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এর ফলে, ডেটা বিশ্লেষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজগুলো ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন