ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো, একটি শহর যা তার মনোরম আবহাওয়া এবং সুন্দর সমুদ্র সৈকতের জন্য সুপরিচিত। এই শহরে খাবারেরও রয়েছে এক দারুণ সমাহার।
এখানে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের বসবাস, তাই খাদ্যরসিকদের জন্য রয়েছে নানা স্বাদের সম্ভার। যারা ভোজনরসিক এবং নতুন কিছু চেখে দেখতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য সান দিয়েগোর খাদ্য জগৎ একটি আদর্শ স্থান হতে পারে।
মেক্সিকান খাবারের প্রভাব এখানে বেশ উল্লেখযোগ্য। এখানকার “ফিশ ট্যাকো” খুবই জনপ্রিয়।
সাধারণত সাদা মাছ, বাঁধাকপি, ক্রিম এবং সালসা দিয়ে তৈরি করা হয় এই ট্যাকো, যা ভুট্টা-রুটির মধ্যে পরিবেশন করা হয়। “ক্যালিফোর্নিয়া বুরিতো” এখানকার আরেকটি পরিচিত খাবার।
মাংস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিজ এবং টক ক্রিম দিয়ে ভরা এই বুরিতো-র জন্মও সান দিয়েগোতে।
যারা সি-ফুড বা সামুদ্রিক খাবার পছন্দ করেন, তাদের জন্য সান দিয়েগোতে রয়েছে নানা বিকল্প।
এখানকার “টুনা হারবার ডকসাইড মার্কেট”-এ তাজা মাছ পাওয়া যায়। এছাড়াও, সুস্বাদু “সুশি”র জন্য শহরটি সুপরিচিত।
সান দিয়েগোর “ক্রাফট বিয়ার”-এর সংস্কৃতিও বেশ জনপ্রিয়।
এখানে প্রায় ১৫০টির বেশি স্বাধীন “ক্রাফট ব্রুয়ারি” রয়েছে। “মিরমার” এবং “নর্থ পার্ক”-এর “৩০তম স্ট্রিট”-এ গেলেই এই “ক্রাফট বিয়ার”-এর স্বাদ নেওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও, “কনভয় ডিস্ট্রিক্ট”-এ এশিয়ান খাবারের নানান পদ উপভোগ করা যেতে পারে।
এখানে জাপানি “রামেন” ও “সুশি” থেকে শুরু করে কোরিয়ান বারবিকিউ, ভিয়েতনামের “ফো” এবং চাইনিজ “ডাম্পলিং” -এর মতো নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়। যারা একটু ভিন্ন স্বাদের সন্ধান করেন, তারা এই অঞ্চলে আসা যাওয়া করতে পারেন।
যারা ফাইন ডাইনিং পছন্দ করেন, তাদের জন্য “অ্যাডিসন” একটি দারুণ জায়গা।
এটি সান দিয়েগোর একমাত্র থ্রি-মিশেলিন স্টার রেস্টুরেন্ট। এখানে ফরাসি পদ্ধতিতে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়।
ইতালীয় খাবারের জন্য “লিটল ইতালি” একটি আকর্ষণীয় স্থান। এখানে “পিয়াজ্জা ডেলা ফ্যামিগ্লিয়া” -র আশেপাশে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও বার-এ ভিড় লেগে থাকে।
মেক্সিকোর কাছাকাছি হওয়ার কারণে এখানে “টিজুয়ানা-স্টাইলের ট্যাকো”ও বেশ জনপ্রিয়।
এই ট্যাকোগুলিতে গ্রিল করা মাংস ব্যবহার করা হয়। যারা মিষ্টিমুখ করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য “এক্সট্রাঅর্ডিনারি ডেজার্টস”-এর কেক একটি অসাধারণ বিকল্প হতে পারে।
সুতরাং, সান দিয়েগো শহরটি খাদ্যরসিকদের জন্য একটি অসাধারণ গন্তব্য। এখানে বিভিন্ন সংস্কৃতির খাবারের স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।
তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক