শিরোনাম: সমুদ্র রক্ষার আন্দোলনে সামিল শিল্পীরা, শৈবালের কালি দিয়ে আঁকা ছবি, তহবিল সংগ্রহে অভিনব উদ্যোগ
বিশ্বজুড়ে সমুদ্র দূষণ একটি গুরুতর সমস্যা, যা পরিবেশের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। এই পরিস্থিতিতে, শিল্পী এবং পরিবেশ প্রেমীদের এক নতুন উদ্যোগ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই প্রদর্শনী থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিল (World Wildlife Fund – WWF)-এর সমুদ্র সংরক্ষণ প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।
এই অভিনব প্রকল্পের মূল ধারণাটি এসেছে স্কটল্যান্ডের একটি খামার থেকে, যেখানে অ্যালেক্স গ্লাসগো নামক এক ব্যক্তি শৈবাল চাষ করেন। এই শৈবাল থেকে তৈরি কালি ব্যবহার করেই ১৬ জন শিল্পী তাদের শিল্পকর্ম তৈরি করেছেন। এই কালি তৈরিতে ব্যবহৃত শৈবালের বিশেষত্ব হলো এটি খুব দ্রুত বাড়ে এবং পরিবেশ বান্ধব।
শিল্পী অ্যান্টনি গর্মলে বলেন, “এই কালি অনেকটা চাষের জমির কাদার মতো, যা আমার শৈশবের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।” শিল্পী কারা থুরিং-এর মতে, “কালি খোলার সঙ্গে সঙ্গেই শৈশবের সমুদ্রের গন্ধটা যেন ফিরে আসে।” শিল্পী এমা টালবট এই কালিকে জলরঙের সাথে তুলনা করে বলেন, “এটি যেন প্রকৃতির সঙ্গে গভীর সংযোগ স্থাপন করে।”
লরা ফোর্ড নামক আরেক শিল্পী তাঁর ছবিতে সমুদ্রের বিপদ এবং উদ্বেগের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। এছাড়াও, শিল্পী আনিয়া গ্যালাচ্চিও এই কালি ব্যবহার করে বিমূর্ত সমুদ্রচিত্র তৈরি করেছেন, যেখানে সমুদ্রের গভীরতা ও রহস্যকে তুলে ধরা হয়েছে।
এই প্রদর্শনীটি লন্ডনের সোদবি’স (Sotheby’s)-এ ৭ই মে থেকে ১৫ই মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রদর্শনীতে শিল্পকর্ম বিক্রির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ WWF-এর সমুদ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের জন্য ব্যয় করা হবে।
এই উদ্যোগটি কেবল একটি শিল্প প্রদর্শনী নয়, বরং এটি পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে শিল্পী ও সাধারণ মানুষের একাত্মতার প্রতীক। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই, সমুদ্র রক্ষার এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রদর্শনী আমাদের সমুদ্র এবং উপকূলীয় অঞ্চলের প্রতি আরও যত্নবান হতে উৎসাহিত করে। আমরা আশা করি, এই ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও বেশি করে অনুষ্ঠিত হবে এবং সকলে মিলে সমুদ্র রক্ষার আন্দোলনে সামিল হব।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান