বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গলফ টুর্নামেন্ট, ‘দি ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ’ পুনরায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন স্কটল্যান্ডের টার্নবেরি গলফ কোর্সে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা বিবেচনা করছে গলফের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আরএন্ডএ (রয়্যাল অ্যান্ড এন্সিয়েন্ট)। তবে, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই টার্নবেরি গলফ কোর্সটি ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একটি পরিচিত স্থান। এর আগে, ২০০৯ সালে এই কোর্সে শেষবার টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময়, আমেরিকান গলফার স্টুয়ার্ট সিঙ্ক তার স্বদেশী টম ওয়াটসনকে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিলেন।
২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই কোর্সের মালিকানা গ্রহণ করেন এবং এর উন্নয়নে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করেছেন।
কিন্তু ট্রাম্পের মালিকানা গ্রহণের পর কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনার পর আরএন্ডএ ঘোষণা করে যে তারা টার্নবেরিতে কোনো চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করবে না, যতক্ষণ না তারা নিশ্চিত হতে পারবে যে টুর্নামেন্টের মনোযোগ খেলোয়াড় এবং কোর্সের দিকেই থাকবে।
আরএন্ডএ-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ডারবন সম্প্রতি জানিয়েছেন, টার্নবেরিতে টুর্নামেন্ট ফেরানোর ক্ষেত্রে এখন তাদের প্রধান উদ্বেগের কারণ রাজনৈতিক নয়, বরং লজিস্টিক্যাল এবং বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জগুলো। তিনি বলেন, “টার্নবেরিতে রাস্তা, রেল এবং আবাসনের অবকাঠামো সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা সেখানে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
টার্নবেরি নিকটতম শহর আয়ার থেকে প্রায় ৩০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। যদিও এর কাছাকাছি গিরভানে সীমিত রেল পরিষেবা রয়েছে, যা কোর্স ও হোটেল থেকে ১০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।
এদিকে, চলতি বছর ১৩ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত, উত্তর আয়ারল্যান্ডের রয়্যাল পোর্টরুশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের ১৫৩তম আসর। আরএন্ডএ আশা করছে, এবারের আসরে প্রায় ২ লক্ষ ৭৮ হাজার দর্শক সমাগম হবে, যা একটি রেকর্ড।
ডারবন আরও জানান, “আমরা যখন সবশেষ টার্নবেরিতে ছিলাম, তখন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার দর্শক এসেছিলেন। একটি আধুনিক ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ একটি বিশাল ইভেন্ট। তবে, আমরা নিশ্চিত যে গলফ কোর্সটি অসাধারণ, তাই আমরা অবশ্যই কোনো একসময় সেখানে ফিরে যেতে চাই।
বর্তমানে টার্নবেরির বিখ্যাত আইলস কোর্সটি বন্ধ রয়েছে। কারণ, এই বছর ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা এটির ক্ষতি করেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান