জন্মদিনের একটি অনুষ্ঠানে কেকের কারণে প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ! সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন এক নারী, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে একটি রেস্টুরেন্টে, যেখানে ওই নারী ও তাঁর প্রেমিকের জন্মদিন একসঙ্গে পালন করার আয়োজন করা হয়েছিল।
৩৪ বছর বয়সী ওই নারীর অভিযোগ, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কেক কাটার সময় তাঁর প্রেমিক, যিনি ৩৮ বছর বয়সী, আচমকা তাঁর মুখ জোর করে কেকের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, উপস্থিত তাঁর পরিবারের সদস্যরা নাকি এই ঘটনায় উল্লাস প্রকাশ করেন।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে ওই নারী প্রতিবাদ করেন এবং প্রেমিককে চড় মারেন। এরপরই শুরু হয় সম্পর্কের জটিলতা।
ওই নারীর ভাষ্যমতে, তিনি পেশাগত জীবনে একটি পরিবর্তন এনেছিলেন এবং সেই উপলক্ষ্যেও এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু কেক নিয়ে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার পরে তাঁর মনে হয়, তিনি যেন সকলের কাছে হাসির পাত্রী হয়ে উঠেছেন।
তাঁর অভিযোগ, ঘটনার পর প্রেমিক তাঁর আচরণকে নিছক ‘ঠাট্টা’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং তাঁর পরিবারের কাছে তাঁকে ‘ছোট’ দেখানোর জন্য তিনিই দায়ী এমনটা বোঝাতে চান।
ঘটনার পর ওই নারী জানান, তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও তিনি প্রেমিককে ভালোবাসতেন, কিন্তু এই ঘটনার পর তাঁর মনে হয়েছে, তাঁর সম্মানহানি হয়েছে এবং তাঁর সঙ্গে আর জনসমক্ষে যাওয়া নিরাপদ নয়।
পরবর্তীতে, বিষয়টি নিয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যম রেডডিটে (Reddit) নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। সেখানে অনেকেই তাঁর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন এবং প্রেমিকের এই ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন।
রেডডিটের আলোচনায় অনেকে তাঁদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ জানিয়েছেন, কিভাবে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাঁদের সঙ্গে হওয়া অপ্রত্যাশিত ঘটনা তাঁদের সম্পর্ককে তিক্ত করে তুলেছিল।
অনেক ব্যবহারকারীই এই ঘটনায় নারীর পক্ষ নিয়েছেন এবং তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মতে, ভালোবাসার সম্পর্ক হোক কিংবা অন্য কোনো সম্পর্ক, সেখানে পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থাকা জরুরি। এমন ঘটনা, যেখানে একজন ব্যক্তি অন্যজনের সম্মানহানি করে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
তথ্য সূত্র: People