পোপ ফ্রান্সিস: সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় শেষ শ্রদ্ধা, শোকস্তব্ধ বিশ্ব।
ভ্যাটিকান সিটিতে শেষকৃত্যের আগে, প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় রাখা হয়েছে। খবর অনুযায়ী, সোমবার, ২১ এপ্রিল স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এরপর বুধবার, ২৩ এপ্রিল সকালে তাঁর মরদেহটি তাঁর বাসভবন কাসা সান্টা মার্তা থেকে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় আনা হয়।
পোপের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্বজুড়ে। তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে এরই মধ্যে ভ্যাটিকানে পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
এদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ব্রিটেনের রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে প্রিন্স উইলিয়াম। শনিবার, ২৬ এপ্রিল তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ভ্যাটিকান সূত্রে জানা গেছে, শেষকৃত্যের আগে সাধারণ মানুষ যেন প্রয়াত পোপকে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, সেই কারণে তাঁর মরদেহটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টা থেকে (স্থানীয় সময়) তাঁর কফিন দেখার সুযোগ পান সাধারণ মানুষ।
এর আগে, মরদেহটি সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে আনা হয়, যেখানে কয়েক হাজার মানুষ তাঁদের প্রিয় ধর্মগুরুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁর মরদেহ সেন্ট মেরি মেজর ব্যাসিলিকায় সমাধিস্থ করা হবে। এটি ছিল প্রয়াত পোপের প্রিয় একটি গির্জা।
তাঁর ইচ্ছানুযায়ী, তাঁকে কোনো আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সমাধিস্থ না করে, সাধারণভাবেই কবর দেওয়া হবে।
পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণের কারণ হিসেবে জানা গেছে, তিনি সেরিব্রাল স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন, যা তাঁর কার্ডিওভাসকুলার কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও, তিনি আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিস তাঁর জীবদ্দশায় মানুষের কাছে সবসময় মানবিক এবং সাধারণ জীবনযাপনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছেন, তাঁদের দুঃখ-কষ্টে পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তাঁর এই মানবিক গুণাবলির কারণে তিনি সারা বিশ্বে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
তথ্য সূত্র: পিপল।