শিরোনাম: ইকুয়েডরের ফুটবলারের স্ত্রীকে অপহরণ, আতঙ্কে আত্মগোপন খেলোয়াড়
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে সম্প্রতি অপহরণ ও সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। দেশটির একটি প্রধান শহর গুয়াকুইলে ঘটেছে এমনই একটি ঘটনা, যেখানে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা এক ফুটবলারের স্ত্রী ও মেয়েকে অপহরণ করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় ফুটবলার জ্যাকসন রদ্রিগেজ আত্মরক্ষার্থে খাটের নিচে লুকিয়ে ছিলেন।
জ্যাকসন রদ্রিগেজ, যিনি ইকুয়েডরের একটি শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাব এমেলের হয়ে খেলেন, বুধবার ভোরে তার বাড়িতে এই ঘটনার শিকার হন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ভোর ৩টার দিকে কয়েকজন লোক তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তার স্ত্রী ও পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।
ঘটনার সময় রদ্রিগেজ খাটের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি জানান, অপহরণকারীরা যাওয়ার সময় একটি ধূসর রঙের ডাবল-ক্যাব পিকআপ ট্রাকে করে পালিয়ে যায়।
ইকুয়েডরের কর্তৃপক্ষ দেশটিতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অপহরণের জন্য অপরাধী চক্রগুলোকে দায়ী করেছে। গুয়াকুইল শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর এবং মাদক পাচারের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি এখানে সহিংসতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ মাসে একটি গ্যাং হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার দেশের নয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে গুয়াস প্রদেশও রয়েছে, যেখানে গুয়াকুইল অবস্থিত।
২০১৮ সাল থেকে ইকুয়েডরে হত্যার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রতি ১ লাখে ৬ জন নিহত হতো, সেখানে ২০২৩ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ জনে।
ফুটবলারদের অপহরণের ঘটনাও নতুন নয়। এর আগে, ডিসেম্বর মাসে আরেক ফুটবলার পেড্রো পার্লাজাকে অপহরণের পর পুলিশ উদ্ধার করে।
এই ঘটনার পর ইকুয়েডরের জাতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কর্তৃপক্ষ অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে এবং অপহরণকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস