মার্কিন অভিনেতা নীল ম্যাকডোনাগ এবং তাঁর স্ত্রী রুভে ম্যাকডোনাগের ভালোবাসার গল্প অনেকের কাছেই অনুকরণীয়। দু’জনের দাম্পত্য জীবনের ২০ বছর পেরিয়েছে, যা হলিউডের ঝলমলে দুনিয়ায় সত্যিই বিরল।
রুভের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। তিনি একসময় মডেলিং করতেন। বর্তমানে তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন।
নীল ম্যাকডোনাগ অভিনয় করেছেন ‘ব্যান্ড অফ ব্রাদার্স’, ‘ডেসপারেট হাউজওয়াইভস’-এর মতো জনপ্রিয় সব সিরিজে।
২০০০ সালে ‘ব্যান্ড অফ ব্রাদার্স’-এর শুটিংয়ের সময় তাঁদের প্রথম দেখা হয়। সে সময় রুভে যুক্তরাজ্যে ছিলেন এবং পাবলিক রিলেশন বিভাগে কাজ করতেন। প্রথম দেখাতেই নীল রুভের প্রেমে পড়েন।
২০০৩ সালের ডিসেম্বরে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে নীল সবসময়ই কথা বলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ত্রীকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট করতেও দেখা যায় তাঁকে।
তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা বুঝিয়ে তিনি একবার লিখেছিলেন, ‘রুভেকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত।’
এই দম্পতির পাঁচ সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে সবার বড় ছেলে মর্গান জন্মগ্রহন করে ২০০৫ সালে। এরপর ২০০৭ সালে ক্যাটরিন এবং ২০১০ ও ২০১১ সালে জন্ম নেয় যথাক্রমে লন্ডন ও ক্লোভার।
২০১৪ সালে তাঁদের ঘর আলো করে আসে সবার ছোট সন্তান জেমস। সন্তানদের নিয়েও তাঁদের উচ্ছ্বাস সবসময় চোখে পড়ার মতো।
নীল ম্যাকডোনাগ ২০১৬ সাল থেকে মাদক থেকে দূরে রয়েছেন। এই কঠিন সময়ে রুভে সবসময় তাঁর পাশে ছিলেন এবং সাহস যুগিয়েছেন। তাঁর এই পরিবর্তনে স্ত্রীর ভূমিকার কথা অভিনেতা বিভিন্ন সময়ে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেছেন।
পর্দার বাইরেও রুভে এবং নীল একসঙ্গে কাজ করেছেন। রুভে তাঁর স্বামীর সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন, যা তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা আরও বৃদ্ধি করেছে।
২০২২ সালে ‘বুন’, ২০২৩ সালে ‘দ্য ওয়ারেন্ট: ব্রেকার্স ল’, এবং সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘হোমস্টেড’-এর মতো সিনেমায় তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁদের সর্বশেষ কাজ ‘দ্য লাস্ট রোডিও’-তে রুভেকে নীল-এর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে।
ভালোবাসা, পারস্পরিক সমর্থন এবং পারিবারিক বন্ধনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নীল ও রুভে ম্যাকডোনাগ। তাঁদের এই পথচলা অন্যদের কাছেও অনুপ্রেরণা যোগায়।
তথ্য সূত্র: পিপল