কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি:
খুলনার কয়রা উপজেলায় কয়রা সাংবাদিক ফোরামের অফিস দখল করে ব্যক্তিগত অফিস বানানোর সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করায় ঐ সংগঠনের সভাপতিকে মারধর করেছে বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসান। বৃহম্পতিবার সন্ধ্যায় কয়রা সদরে মদিনাবাদ লঞ্চঘাটে উপজেলা বিএনপি নেতা হাসানের নেতৃত্বে মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক তারিক লিটু কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও দ্যা ডেইলি ট্রাইবুনালের কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি।
মারধরে আহত সাংবাদিককে স্থানীয় বাসিন্দা ও কয়েকজন সাংবাদিক উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। শুক্রবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখন সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার মাথা, কান, বুক ও পায়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে।
সাংবাদিককে মারধরের বিষয়ে কয়রায় অবস্থানরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জকে (তদন্ত) জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবির হোসেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসান কয়রা সদরে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের অফিস জোরপূর্বক দখল করে ব্যক্তিগত অফিস বানিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় তাঁর লোকজন নিয়ে আড্ডা দেন। তিনি কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে জনসংযোগের সুবিধার জন্য অফিস রুমটি দখলে নিয়েছিল বলে তিনি বিভিন্ন জনকে জানিয়েছেন।
এদিকে সাংবাদিক সংগঠনের অফিস ঘর দখল প্রসঙ্গে বিএনপির প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিকট হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেন, চর দখলের মত সাংবাদিক সংগঠন দখল করা যায় না। এই ধরনের চিন্তা চেতনা থেকে রাজনৈতিক দলের লোকজনকে দূরে থাকা উচিত।