ধ্বংসাত্মক অ্যাকশন আর অপ্রত্যাশিত মোড়: নেটফ্লিক্সের নতুন ছবি ‘হ্যাভক’-এর শেষ দৃশ্যের বিশ্লেষণ
টম হার্ডি অভিনীত নতুন নেটফ্লিক্স চলচ্চিত্র ‘হ্যাভক’ মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। ছবির গল্প, অপ্রত্যাশিত মোড় এবং চরিত্রগুলোর জটিলতা দর্শকদের আকর্ষণ করেছে।
ছবিটির শেষ দৃশ্যগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যেখানে বিশ্বাসঘাতকতা, মৃত্যু, এবং আত্মত্যাগের এক শ্বাসরুদ্ধকর চিত্র ফুটে উঠেছে।
‘হ্যাভক’-এর গল্পে দেখা যায়, ওয়াকার নামের এক দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসারকে, যিনি এক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের ছেলে চার্লিকে (জাস্টিন কর্নওয়েল) উদ্ধার করতে গিয়ে নানা জটিলতায় জড়িয়ে পড়েন।
মাদক ব্যবসার একটি ঘটনার পর চার্লির বিরুদ্ধে একটি গ্যাং লিডারের হত্যার অভিযোগ আনা হয়। এরপর থেকেই সে তার বান্ধবী মিয়ার (কুইলিন সেপুলভেদা) সাথে পলাতক হয়।
গল্পের গভীরে প্রবেশ করলে, ওয়াকারকে দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের এক গভীর জালে আটকা পড়তে দেখা যায়। একদিকে যেমন সে নিজের ভেতরের দ্বন্দ্বের সঙ্গে লড়ছে, তেমনি শহরের অলিগলিতে চলতে থাকা নানা অপরাধের সঙ্গেও তার পরিচয় ঘটে।
পরিচালক গ্যারেথ ইভান্স জানিয়েছেন, শুরুতে তিনি ছবিটিকে আরো দ্রুতগতির এবং কম আবেগপূর্ণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি চেয়েছেন গল্পের গভীরতা ফুটিয়ে তুলতে, যা দর্শকদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক শান্তির জন্ম দেবে।
ছবিটির শেষ দৃশ্যে, চার্লি এবং মিয়াকে বাঁচানোর জন্য লরেন্স বিউমন্ট (ফরেস্ট হুইটেকার) নিজের জীবন উৎসর্গ করেন।
গ্যাংস্টারদের সঙ্গে এক ভয়ংকর সংঘর্ষের সময়, লরেন্স তার ছেলের জীবন বাঁচাতে নিজের বুক পেতে দেন। এই দৃশ্যে, পরিবারের প্রতি ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগের এক গভীর চিত্র ফুটে ওঠে।
পরিচালক এই অংশে পিতা ও পুত্রের সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরেছেন।
এছাড়াও, ছবিতে দেখা যায়, ওয়াকারের প্রাক্তন সহযোগী, ভিনসেন্ট (টিমোথি ওলিফ্যান্ট) বিশ্বাসঘাতকতা করে প্রচুর অর্থ নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে।
ওয়াকার এবং ভিনসেন্টের মধ্যে হওয়া লড়াইয়ে ওয়াকার শেষ পর্যন্ত ভিনসেন্টকে হত্যা করে। শেষ দৃশ্যে, এলি নামের একজন পুলিশ অফিসার, চার্লি ও মিয়াকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে, যা তাদের নতুন জীবন শুরুর সুযোগ দেয়।
‘হ্যাভক’ ছবিতে, পরিচালক সমাজের অন্ধকার দিকগুলো তুলে ধরেছেন, যেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি এবং প্রতিশোধের মতো বিষয়গুলো প্রধান হয়ে উঠেছে।
ছবিটি দর্শকদের সম্পর্কের জটিলতা, আত্মত্যাগ এবং নৈতিকতার প্রশ্নে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।
তথ্যসূত্র: পিপল