পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে বিশ্বনেতাদের ভিড়: ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সাক্ষাৎ, আলোচনায় বাংলাদেশের প্রতিবেশীরাও।
ভ্যাটিকানে অনুষ্ঠিত হলো পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান। শনিবারের এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ৫৫ জন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
আন্তর্জাতিক কূটনীতির এক কঠিন সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই শেষকৃত্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আগতদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শেষকৃত্যানুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় তাদের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
এই বৈঠককে উভয় পক্ষই ফলপ্রসূ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
অনুষ্ঠানে আসা বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটেনের প্রিন্স উইলিয়াম, জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ ও রানি লেটিজিয়া, এবং ডেনমার্কের রানি মেরি।
এছাড়াও, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডা ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বানসহ ইউরোপের আরও অনেক নেতা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং ইকুয়েডরের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়াও উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রেইয়েসাস এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যকার সাক্ষাৎ।
ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পর এটি ছিল তাদের প্রথম সাক্ষাৎ।
জেলেনস্কি এই বৈঠককে ‘প্রতীকী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং এর ফলস্বরূপ ‘যৌথ ফলাফল অর্জনের সম্ভাবনা’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ভবিষ্যতে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, উইকিলিকস-এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে তার স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে ভ্যাটিকানে দেখা যায়।
কারামুক্তির পর এটি ছিল তার একটি বিরল প্রকাশ্য উপস্থিতি।
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
একইসঙ্গে, বিভিন্ন দেশের নেতাদের মধ্যেকার আলোচনা ও মতবিনিময় বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন।