বিখ্যাত ‘গোল্ডেন ব্যাচেলর’ খ্যাত গেরি টার্নারের জীবনে নতুন প্রেম, লানার সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ছে। টেলিভিশন অনুষ্ঠানে থেরেসা নিস্টের সঙ্গে বাগদান, বিয়ে এবং কয়েক মাসের মধ্যেই বিচ্ছেদের পর, ৭৩ বছর বয়সী গেরি এখন নতুন করে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
তাঁর নতুন সঙ্গিনী লানা। দুজনেই তাঁদের জীবনের দ্বিতীয়বার বিবাহিত।
গেরি জানান, লানার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এখনো বিয়ের দিকে গড়ায়নি। তবে তাঁরা দুজনেই একটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
তাঁদের সম্পর্কের শুরুটা হয় ফেসবুকে, যেখানে লানা তাঁকে মেসেজ করেন। এরপর মার্চ মাস থেকে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়।
গেরি বলেন, “আমরা দুজনেই একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের প্রত্যাশা করছি, এবং মনে হচ্ছে আমরা সেই দিকেই যাচ্ছি।”
সম্পর্কের শুরুতেই তাঁরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। লানা ইতিমধ্যে গেরির পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন।
গেরি তাঁর পরিবারের সঙ্গে লানাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। গেরির কথায়, “আমার কনিষ্ঠ কন্যার স্বামী এবং তাদের সঙ্গে লানাকে নিয়ে ডিনারে গিয়েছিলাম, খুব ভালো সময় কেটেছিল।
এর এক সপ্তাহ পরেই আমার নাতনির ভলিবল টুর্নামেন্ট ছিল, সেখানে লানা আমার অন্য মেয়ে ও জামাইয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়।” এর কিছুদিন পরেই তিনি লানার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন।
গেরি মনে করেন, লানার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক তৈরি হওয়াটা সহজ হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়েছে লানা খুব সহজেই আমার পরিবারের সঙ্গে মিশে গেছে, তেমনই আমি তাঁর পরিবারের সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পেরেছি।” লানার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রথমে কিছুটা নার্ভাস ছিলেন তিনি।
কিন্তু তাঁদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ গেরি। লানার মা-কে তিনি খুব মিশুক এবং অতিথিপরায়ণ হিসেবে বর্ণনা করেন।
তাঁরা দুজনে মিলে বাড়ি খোঁজার পরিকল্পনা করছেন এবং প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছেন।
গ্রীষ্মকালে লন্ডন ও প্যারিসে ভ্রমণের পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের। গেরি বলেন, “আমরা প্রতি সপ্তাহান্তে একসঙ্গে সময় কাটাই।
লানা এখন অবসরপ্রাপ্ত, তাই তাঁর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যখন খুশি, তিনি আমার কাছে আসতে পারেন অথবা আমি তাঁর কাছে যেতে পারি।”
২০১৭ সালে গেরির প্রথম স্ত্রী টনি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে মারা যান।
‘গোল্ডেন ব্যাচেলর’-এর অভিজ্ঞতা থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন, যা বর্তমানের সম্পর্কে কাজে লাগাচ্ছেন।
তিনি জানান, “আমি ভালো প্রশ্ন করতে শিখেছি, ধৈর্য ধরেছি এবং দেখেছি কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে কিনা।”
গেরি তাঁর ক্যান্সার রোগ সম্পর্কে লানাকে জানালে, লানা বিষয়টিকে খুব স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেন।
গেরি বলেন, “লানা আমাকে বলেছিল, ‘গেরি, তোমার ক্যান্সার সম্পর্কে আমি জানি। আমি এটা নিয়ে গবেষণা করেছি এবং আমি এতে কোনো সমস্যা অনুভব করি না।’”
প্রথম ডেটিংয়ের সময় লানার দেওয়া একটি উপহারের কথা উল্লেখ করে গেরি বলেন, “সে একটি ছোট ফ্রেমে বাঁধানো একটি কথা নিয়ে এসেছিল, যেখানে লেখা ছিল, ‘যে চেষ্টা করে না, সে কিছুই পায় না’।
লানা বুঝিয়েছিল, সে এই সম্পর্ককে গুরুত্ব দিতে চায়।” তিনি আরও বলেন, লানা তাঁর প্রয়াত বাবার জন্য সমবেদনা কার্ডও এনেছিল, যা তাঁর উদারতা ও চিন্তাশীলতার প্রমাণ।
বিচ্ছেদের পর কেটে যাওয়া এক বছরে অনেক কিছুই ঘটেছে, যার মধ্যে কিছু খারাপ অভিজ্ঞতাও রয়েছে।
তবে গেরি এখন তাঁর জীবন নিয়ে খুব খুশি।
তিনি জানান, “আমি সবাইকে জানাতে চাই যে, আমি এখন খুব ভালো আছি।”
তথ্য সূত্র: পিপল