সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কোনো কিছুই আর গোপন থাকে না। সামান্য একটি ঘটনার রেশ ধরে রাতারাতি খ্যাতি চলে আসতে পারে, আর সেই খ্যাতি মানুষকে পৌঁছে দিতে পারে কল্পনার বাইরে।
তেমনই এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন ক্যান্ডেস পেন, যিনি ‘চিওবাক্কা মম’ নামেই বেশি পরিচিত। ২০১৬ সালে ফেসবুকে লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে তিনি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিলেন যে, সেই ভিডিওটি সে বছর সবচেয়ে বেশিবার দেখা হয়েছিল।
ক্যান্ডেসের জীবনের এই মোড় ঘোরানো ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০১৬ সালে, যখন তিনি একটি চিওবাক্কা মাস্ক কিনেছিলেন। মাস্কটি পরে হাসতে হাসতে তিনি সেই ভিডিওটি ফেসবুকে আপলোড করেন, যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর, তিনি যেন আলাদিনের চেরাগের সন্ধান পান। রাতারাতি সেলিব্রিটি বনে যাওয়া মানুষটির জীবনে আসে বহু পরিবর্তন।
ভাইরাল হওয়ার পর মিডিয়া এবং দর্শকদের মাঝে ক্যান্ডেসের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, তিনি ‘দ্য ল্যাতে নাইট শো উইথ জেমস করডেন’-এর কারপুল কারাওকে অংশে যোগ দেন।
শুধু তাই নয়, ডিজনি’র ‘রাল্ফ ব্রেকস দ্য ইন্টারনেট’ ছবিতেও তার এই ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে।
তবে রাতারাতি আসা এই খ্যাতি ক্যান্ডেসের জীবনকে এক নতুন মোড় এনে দিলেও, এর সঙ্গে আসে কিছু চ্যালেঞ্জও।
খ্যাতির আলোয় আসার পর তিনি বুঝতে পারেন, নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য কিছু নিয়ম তৈরি করা জরুরি। তাই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার জগৎ থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন, যা তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করেছে।
ক্যান্ডেস জানান, খ্যাতি পাওয়ার এই নয় বছরে তিনি নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন।
বর্তমানে তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং সুস্থ জীবন যাপন করছেন। তিনি মনে করেন, খ্যাতি মানুষকে এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়, যেখানে টিকে থাকতে হলে নিজের শিকড়ের সঙ্গে জুড়ে থাকতে হয়।
ক্যান্ডেসের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আসল বিষয় হলো– যা ঘটছে, তা যেন খাঁটি হয়, যা মানুষকে আকর্ষণ করে।
পরিবার সবসময় তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং থাকবে। তিনি তার পরিবারের সমর্থনকে সবসময় গুরুত্ব দেন।
সম্প্রতি তিনি বিবাহিত জীবনের ২৪ বছর পূর্ণ করেছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল