1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
August 13, 2025 10:18 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যুব সমাজের কোনো বিকল্প নেই- অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ পিরোজপুরে আনোয়ার হোসেন নাজির জামে মসজিদ কমপ্লেক্স এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নতুন মালিকানায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্ট প্রবাসে থেকেও সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যাওয়া সহজ কাজ নয় — দৃষ্টান্ত রাখলেন সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম। চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন বিএনপির নতুন সদস্য ও নবায়ন উদ্বোধন  লংগদুতে আলো ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ স্বরূপকাঠিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপিত গাজায় শিশুদের বাঁচাতে পোপকে জরুরি বার্তা দিলেন মাদোনা! ইউক্রেন যুদ্ধ: পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্পকে বার্তা ইউরোপের! কাপ্তাইয়ে জাতীয় যুব দিবসে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার ঋণের চেক বিতরণ 

এনির বিতর্ক: মাঠের বাইরে আলোচনার ঝড়, ইয়ান রাইটের প্রতিক্রিয়া!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Sunday, May 4, 2025,

নারী ফুটবল বিষয়ক আলোচনা: সমালোচনার ঝড় ও ভবিষ্যতের দিশা

সম্প্রতি বিবিসি রেডিও ফোর-এর ‘ওম্যান’স আওয়ার’-এ প্রাক্তন ইংলিশ ফুটবলার এনি আলোকো’র একটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয় ছিল, নারী ফুটবল বিষয়ক ধারাভাষ্যে ইয়ান রাইটের উপস্থিতি।

আলোকো’র মতে, ধারাভাষ্য দেওয়ার সুযোগ সীমিত, এবং পুরুষদের এই বিষয়টি মনে রাখা উচিত। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই যেন বিতর্কের ঝড় ওঠে।

আলোকো’র এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইয়ান রাইট, যিনি নারী ফুটবলের একজন বড় সমর্থক, আলোকো’র কাছে ক্ষমা প্রত্যাখ্যান করেন। এই ঘটনার জেরে নারী ফুটবল বিষয়ক আলোচনাটি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।

মূল আলোচনার বিষয়, অর্থাৎ ক্রীড়া জগতে নারী ধারাভাষ্যকার, ভাষ্যকার এবং উপস্থাপকদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে কিনা, তা যেন কিছুটা চাপা পড়ে যায়।

আসলে, নারী প্রতিনিধিত্বের এই লড়াই নতুন নয়। এনি আলোকো ১১ বছর আগে ‘ম্যাচ অফ দ্য ডে’-তে প্রথম নারী বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন।

এরপর ১৮ বছর আগে, জ্যাকি ওটলি এই অনুষ্ঠানে প্রথম নারী ধারাভাষ্যকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০ বছর আগে, সেলিনা হিংক্লিফ এই অনুষ্ঠানের প্রথম নারী উপস্থাপক হয়েছিলেন।

বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। ‘ম্যাচ অফ দ্য ডে’-তে গ্যারি লিনেকারের পরিবর্তে তিনজন উপস্থাপকের মধ্যে দু’জন নারী— কেলি কেইটস এবং গ্যাবি লোগান—নিয়মিত কাজ করছেন।

তাঁদের সঙ্গে মার্ক চ্যাপম্যানও এই দায়িত্ব পালন করেন।

পুরুষ এবং নারী—উভয় ধরনের ফুটবল সম্প্রচারে এখন নারী উপস্থাপক, ভাষ্যকার ও বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি বাড়ছে। তবে এখনো অনেক কাজ বাকি।

জাতিগত বৈচিত্র্যের অভাব এখনো প্রকট, এবং সাংবাদিকতাতেও শ্রেণি ও প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক বিষয়গুলো প্রায়শই উপেক্ষিত থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, ইংল্যান্ডের পুরুষ দলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচে (আলবেনিয়া ও লাটভিয়ার বিরুদ্ধে) কোনো নারী বিশেষজ্ঞ, ভাষ্যকার বা উপস্থাপক আইটিভি’র পর্দায় কাজ করেননি।

বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভে দ্বিতীয় ম্যাচটিতে (লাটভিয়ার বিরুদ্ধে) শুধুমাত্র ইজি ক্রিশ্চিয়ানসেন সহ-ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিলেন।

খেলা সম্প্রচারকারী সংস্থা, যেমন টেলিভিশন চ্যানেল, প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন মাধ্যম—সবারই এক্ষেত্রে আরও ভালো করা উচিত।

নারী ও পুরুষ—উভয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে তাঁদের অভিজ্ঞ নারী কর্মীদের আরও বেশি সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

বৈচিত্র্য শুধু লোক দেখানোর জন্য নয়। গবেষণায় বারবার দেখা গেছে, ব্যবসার ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যপূর্ণ দলগুলো ভালো ফল করে।

খেলাধুলার সম্প্রচারেও, সব ধরনের বৈচিত্র্য আরও ভালো, গভীর এবং বিস্তৃত আলোচনা তৈরি করতে পারে।

পুরুষ খেলোয়াড়দের নীরবতার মধ্যে, কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ‘ওয়ান লাভ’ (One Love) রংধনু আর্মব্যান্ড পরে অ্যালেক্স স্কটের বক্তব্য এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

তাঁর এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে, পর্দায় বৈচিত্র্য থাকলে তা কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে সমাজে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার লড়াই এখনো চলছে। পুরোনো ধ্যানধারণা, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, এখনো বিদ্যমান।

সমাজের প্রতিটি স্তরেই নারীর প্রতি এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন।

কর্মক্ষেত্রে বেতন বৈষম্য, খারাপ মাতৃত্বকালীন সুবিধা, এবং আইনি ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যসহ বিভিন্ন সমস্যা এর কারণ।

বিভিন্ন সময়ে, সমাজের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ, ‘ম্যাচ অফ দ্য ডে’-র প্রাক্তন উপস্থাপক ডেস লিনাম, যিনি খেলোয়াড় ছিলেন না, একবার বলেছিলেন যে, নারী উপস্থাপকদের নিয়ে তাঁর কোনো সমস্যা নেই, তবে বিশেষজ্ঞদের খেলাটা খেলার স্তরে থাকা উচিত, অর্থাৎ পুরুষদের খেলা নিয়ে তাঁদের কথা বলতে হবে।

এর আগে তিনি নারী কণ্ঠকে ‘কর্ণপীড়ক’ এবং ‘ধারাভাষ্যের জন্য আকর্ষণীয় নয়’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন।

অন্যদিকে, কেলি কেইটস এবং গ্যাবি লোগান ‘ম্যাচ অফ দ্য ডে’-র উপস্থাপক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর তাঁদের প্রতি সমর্থন, এনি আলোকো ও লুসি ওয়ার্ডকে নিয়ে জোয়ি বার্টনের সমালোচনার বিরুদ্ধে সমর্থন, এমা হেইসের বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি, এবং আলোকো’র মন্তব্যের পর ইয়ান রাইটের নারী ফুটবল বিষয়ক সমর্থন—এগুলো ক্রীড়া সাংবাদিকতায় বৈচিত্র্যের ক্রমবর্ধমান স্বাভাবিকতার প্রমাণ।

সুতরাং, পথ এখনো অনেক বাকি। তবে এই পরিবর্তনগুলো নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT