জার্মান ফুটবলে বায়ার্ন মিউনিখের একচ্ছত্র আধিপত্য আবারও প্রমাণিত হলো। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মুকুট নিজেদের দখলেই রাখলো বায়ার্ন। এবার তাদের এটি ছিল তেত্রিশতম শিরোপা জয়।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার লেভারকুসেনের ফ্রেইবার্গের সাথে ২-২ গোলে ড্র হওয়ার ফলে বায়ার্নের এই জয় নিশ্চিত হয়।
রবিবার (স্থানীয় সময়) অনুষ্ঠিত ম্যাচে বায়ার লেভারকুসেনের খেলোয়াড় জোনাথন টাহের একটি হেডার থেকে করা গোলে খেলার ফলাফল ২-২ হয়। অতিরিক্ত সময়ে বায়ার লেভারকুসেন খেলায় ফেরার চেষ্টা করলেও বায়ার্নকে ট্রফি জেতা থেকে আটকাতে পারেনি।
এর আগে, বায়ার্ন মিউনিখ শনিবার আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে অসাধারণ প্রত্যাবর্তন করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল। এরিক ডায়ার, মাইকেল ওলিস এবং লেরয় সানের গোলে ভর করে ভিনসেন্ট কোম্পানি’র দল ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচে ফেরে।
তবে লাইপজিগের ইউসুফ পোলসেন ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে গোল করে বসেন। ফলে, বায়ার্নের উদযাপন কিছুটা বিলম্বিত হয়।
গত মৌসুমে বায়ার লেভারকুসেন বায়ার্নের দীর্ঘদিনের আধিপত্য ভেঙে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তবে এবার তারা সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে ব্যর্থ হয়।
বায়ার লেভারকুসেনের ম্যানেজার, যিনি এক সময় বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন, এবার তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে বায়ার্ন মিউনিখের পরেই সবচেয়ে বেশিবার শিরোপা জিতেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড এবং বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ, উভয় দলেরই পাঁচটি করে শিরোপা রয়েছে।
এই জয়ের ফলে বায়ার্নের কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির অধীনে প্রথম বছরেই ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্য এলো। বায়ার্ন মৌসুমের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই লীগ টেবিলের শীর্ষে ছিল।
এই জয় শুধু বায়ার্নের জন্য নয়, ব্যক্তিগতভাবে ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের জন্যও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। টটেনহ্যাম হটস্পারের প্রাক্তন এই খেলোয়াড় ক্লাব অথবা দেশের হয়ে এর আগে কোনো ট্রফি জিততে পারেননি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হারের পর অবশেষে তিনি একটি ক্লাবের হয়ে শিরোপা জিততে পারলেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন