শিরোনাম: কোল পালমারের ঝলক: লিভারপুলকে হারিয়ে জয়ে ফিরল চেলসি
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে লিভারপুলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন চেলসির তরুণ খেলোয়াড় কোল পালমার।
দীর্ঘদিন পর তিনি গোলের দেখা পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত চেলসি সমর্থকরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল চেলসি। খেলার ৩ মিনিটের মাথায় এনজো ফার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে যায় তারা।
এরপর পালমারের একটি অসাধারণ পাসে তৈরি হওয়া সুযোগ থেকে গোল করেন ফার্নান্দেজ। পুরো ম্যাচে পালমারের খেলা ছিল চোখে পড়ার মতো।
মাঝে মধ্যে রক্ষণভাগে নেমে এসেও দলের প্রয়োজনে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন তিনি।
পালমারের ফর্ম নিয়ে অনেক আলোচনা চলছিল। ১৪ জানুয়ারির পর থেকে তিনি গোল করতে পারছিলেন না।
অবশেষে পেনাল্টি থেকে গোল করে যেন নিজের খরা কাটালেন তিনি। এই গোলটি ছিল তার এবং দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গোল পাওয়ার পর সতীর্থদের উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো, যা দলের মধ্যেকার বন্ধনকেই প্রকাশ করে।
চেলসির এই জয়ে শুধু মাঠের খেলোয়াড়রাই নন, আর্থিক দিক থেকেও লাভবান হয়েছে ক্লাবটি।
ক্লাব বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় প্রায় ৭০ মিলিয়ন পাউন্ড পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। এছাড়াও, প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ ছয় দলের মধ্যে থাকতে পারলে উয়েফার কাছ থেকেও প্রায় ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড আয়ের সুযোগ রয়েছে।
ম্যাচে লিভারপুলের পারফরম্যান্স ছিল কিছুটা ম্লান। তাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই চিরাচরিত ছন্দ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে, চেলসির খেলোয়াড়রা তাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে, রোমিও লাভিয়ার মিডফিল্ডে খেলা ছিল প্রশংসনীয়।
চেলসির ম্যানেজার এনজো মারেস্কাও এই জয়ে বেশ খুশি। দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তিনি তরুণ খেলোয়াড়দের প্রতিভার সঠিক ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন।
সবমিলিয়ে, এই জয় চেলসির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে, লিগে ভালো অবস্থানে যাওয়ার জন্য এই জয় তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।
কোল পালমারের ফর্ম ফিরে আসা দলের জন্য নিঃসন্দেহে বড় একটি ইতিবাচক দিক।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান