বিয়েতে ‘ছোটখাটো প্রতিশোধ’ নিতে চান নববধূ: ভাইয়ের স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ
সম্প্রতি, একটি অনলাইন ফোরামে এক নববধূ তার ভাবী ননদের (স্বামীর বড় বোনের স্ত্রী) প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
নববধূর অভিযোগ, তার ননদ তাদের পরিবারের সদস্যদের বিয়ের ছবি এবং ভিডিও থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়েছিলেন। প্রতিশোধস্বরূপ, নববধূ তার বিয়ের কার্ডে ননদের নাম ভুলভাবে ছাপিয়েছেন এবং বিয়ের ভিডিও থেকে তাকে বাদ দেওয়ার জন্য একজন ভিডিওগ্রাফারকে নিযুক্ত করেছেন।
**পূর্ববর্তী ঘটনা:**
ঘটনার সূত্রপাত হয় নববধূর ননদের বিয়েতে। বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্যদের পোশাক নির্বাচন এবং ছবি তোলার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়।
বিয়ের আগের দিন, ননদ নাকি এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন যা পরিবারের অনেক সদস্যকে আহত করে। বিয়ের ছবি এবং ভিডিও প্রকাশের পর নববধূ জানতে পারেন যে তার পরিবারের সদস্যদের কোনো ছবি সেখানে ছিল না।
এমনকি, তিন মিনিটের ভিডিওতেও তাদের পরিবারের সদস্যদের কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখা গিয়েছিল, যেন তারা সেখানে ছিলেনই না।
ননদের কাছে ছবি চেয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। নববধূ জানান, তিনি ছবি তুলেছিলেন, কিন্তু ননদ তা অস্বীকার করেন। এরপর, ঘটনার ছয় মাস পর আবার ছবিগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে ননদ বিষয়টি এড়িয়ে যান।
**প্রতিশোধের পরিকল্পনা:**
এই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে নববধূ তার বিয়ের কার্ডে ননদের নাম ভুলভাবে লেখেন। এছাড়াও, তিনি একজন অভিজ্ঞ ভিডিওগ্রাফারকে নিয়োগ করেছেন, যিনি ননদের ওপর বিশেষভাবে নজর রাখবেন।
ভিডিওতে তাকে হয়তো অনেকবার দেখা যাবে, যেন তিনিই অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু চূড়ান্ত সম্পাদনার সময় তাকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হবে। যেন ননদ তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যা করেছিলেন, নববধূর প্রতিশোধও তেমনই হয়।
**আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া:**
অনলাইন ফোরামের মন্তব্যকারীরা মূলত এই প্রতিশোধ পরিকল্পনার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে, কিভাবে এটি বাস্তবায়ন করা হবে, সে বিষয়ে জানতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, ননদের এমন কিছু ছবি তোলার জন্য যা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা যেতে পারে।
বিয়েতে ছবি এবং ভিডিওর গুরুত্ব বাঙালি সংস্কৃতিতে অপরিসীম। এই ধরনের পরিকল্পনা সেই সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি বহন করে।
তথ্য সূত্র: পিপল