শিরোনাম: যুক্তরাষ্ট্রে পারিবারিক কলহের জেরে ভাড়াটে খুনের ষড়যন্ত্র, কারাদণ্ড মা ও দুই বোনের।
যুক্তরাষ্ট্রে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, পারিবারিক বিবাদের জের ধরে ভাড়াটে খুনের ষড়যন্ত্রের দায়ে এক মা ও তার দুই বোনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আলাবামার একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করে।
জানা গেছে, সান্ড্রা গ্রাইমস নামের এক নারী তার জামাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করেন। এই ষড়যন্ত্রে সহায়তা করার অভিযোগে তার দুই বোন জুডি ওয়েন এবং মিতজি স্মিথও জড়িত ছিলেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, সান্ড্রা গ্রাইমসের মেয়ে ইরমা নিকোল বাউয়ার এবং তার স্বামী রাউল মিনার মধ্যে চলা একটি বিবাদ থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। বাউয়ার এবং মিনার মধ্যে তাদের সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এর জের ধরে সান্ড্রা গ্রাইমস তার জামাই রাউল মিনাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে, যখন গ্রাইমস, ওয়েন ও স্মিথ মিলে রেবেকা মারফি নামক এক নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মিনাকে হত্যা করার জন্য তাকে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, মারফিকে এই কাজের জন্য অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
প্রথম দিকে, মারফি রাজি হলেও পরে তিনি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে অস্বীকার করেন এবং বিষয়টি এফবিআইকে জানান।
তদন্তে জানা যায়, গ্রাইমসেরা মারফিকে দিয়ে মিনাকে হেরোইন ইনজেকশন দিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন, যাতে এটি একটি নিছক ওভারডোজের ঘটনা বলে মনে হয়। মারফিকে এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও দেওয়া হয়েছিল।
পরে, মারফির কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর, এফবিআই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রাইমস, ওয়েন, স্মিথ, মারফি এবং মারফির বান্ধবী জেসিকা মন্টগোমারি’কে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালতে সান্ড্রা গ্রাইমস তার দোষ স্বীকার করেন, যার ফলস্বরূপ তাকে ৭০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জুডি ওয়েন এবং মিতজি স্মিথ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন, তবে বিচারে তারা দোষী সাব্যস্ত হন।
ওয়েনকে ১২০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, এবং স্মিথকে ইতোমধ্যে তিনি যে সময় কারাগারে ছিলেন, তাকেই সাজা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। রেবেকা মারফি এবং জেসিকা মন্টগোমারিকেও এই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মন্টগোমারিকে অবৈধভাবে গোলাবারুদ কেনার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
এই ঘটনার মাধ্যমে পারিবারিক কলহ এবং প্রতিশোধের একটি ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে, যা আইনের চোখে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস